সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রান। প্রতিনিয়ত মানুষ এই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে তবে ট্রেন দুর্ঘটনা তুলনা মুলকভাবে কম হলেও মাঝে মধ্যেই ঘটে এবং এবারেও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঘটেছে একটি দুঃখজনক ঘটনা।
রাত তখন প্রায় বারোটা। এর মধ্যে একে একে বেরিয়ে আসে ১১টি অ্যাম্বুলেন্স। স্বজনদের কান্নায় ভারি রেলস্টেশন এলাকার পরিবেশ। এটি একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখার মত।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত পর্যটক মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রীর মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত ১১ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা থেকে মরদেহগুলো আনা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো: ইলিয়াছ চৌধুরী, রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা। লাশ হস্তান্তরের সময় রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সাক্ষী হয়। স্বজনরা ১১টি অ্যাম্বুলেন্সে করে একে একে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী বলেন, যেহেতু এটি সড়ক দুর্ঘটনা। তাই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাই উপজেলার বারতাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটক বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা সবাই হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকার আরএন্ডজে প্রাইভেট কেয়ার নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে ছাত্র-শিক্ষকসহ ১৭ জন খৈয়াছড়া জলপ্রপাত দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ট্রেন এবং মাইক্রোবাসের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে ১১জন ঘটনাটি নিয়ে মানুষ সামজীক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিচার বিশ্লেশ করে যাছে এবং সেই সাথে দেখা যাচ্ছে অনেকেই শোকে স্তব্ধ হয়েছে এই ঘটনা জানার পর থেকে