গত ২৭ আগস্ট বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজের প্রায় ২৯ দিনের মাথায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে খুলনার আলোচিত সেই রহিমা বেগমকে (৫২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে উদ্ধারের পর থেকেই একেক সময়ে একেক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
তারা আরও বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও পুলিশের দেওয়া বক্তব্যের কোনো মিল নেই। রহিমা আদালতে জবানবন্দি দেন, তিনি বান্দরবানে গিয়ে একটি হোটেলে চাকরি নেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রহিমা আদালত ও পুলিশের কাছে বিভিন্ন জবানবন্দি দিয়েছেন। অপহরণকারীরা তাকে ধরে নিয়ে বান্দরবানে ছেড়ে দেয় বলে জানান আদালত। সেখান থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসেন। পরে বোয়ালমারীর সৈয়দপুরে পৌঁছান। কিন্তু বান্দরবান থেকে ঢাকা পর্যন্ত কোনো রেললাইন নেই। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বারবার অপহরণের দাবি করা সত্ত্বেও তার সঙ্গে ব্যাগ ও নিত্যদিনের জিনিসপত্র ছিল। উদ্ধারের সময় তার কাছে এসব জিনিসপত্রও পাওয়া গেছে।
তারা জানান, রহিমা বান্দরবানে গিয়ে একটি হোটেলে চাকরি নেন। তিনি সেখানকার লোকজনকে জানান, ঢাকায় ছেলের লেখাপড়ার জন্য টাকার প্রয়োজনে একটি হোটেলে চাকরি নিয়েছিলেন। এই কথা শুনে লোকেরা তার জন্য আরেকটি সাইড জব ঠিক করার চেষ্টা করল। তার কাজ ভালোই হয়েছে। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছিল না। আর এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামে।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, রহিমার দেওয়া দুটি জবানবন্দি তারা খতিয়ে দেখছেন। তাদের দেওয়া বক্তব্য ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দির মধ্যে অমিল রয়েছে। এছাড়া তিনি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সত্যতা গোপন করেছেন।
এদিকে এ ঘটনার পেছনে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে মরিয়ম মান্নানের বিরুদ্ধে। এর আগে মায়ের মৃতদেহ না দেখেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে রীতিমতো বেশ আলোচনায় আসেন তিনি।