ফারাজ করিম চৌধুরী বলতে গেলে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আদর্শ। তাকে প্রায় দেখা যায় কোনো না কোনো ভালো কাজে তিনি জড়িত থাকেন। কোথাও অন্যায় হলে তিনি জিজে স্বয়ং সেখানে গিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। আর এজন্য ফারাজ করিম অনেক প্রশংসিতও হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বানভাসীদের জন্য ১০০ গরু কোরবানী দিবেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী দেশের বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্ব বন্যা দুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য তার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে বন্যা কবলিত এলাকায় বসবাস করছেন ওই যুবক। সেখানে বানভাসি শুকনো খাবার থেকে শুরু করে তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু ত্রাণই নয়, বন্যার্তদের সহায়তা দিয়েও একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফারাজ চৌধুরী।
ইতিমধ্যেই তিনি বানভাসি অসহায় মানুষের মাঝে লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। এক কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ৩৫০ ও কুড়িগ্রামে ১৫০টি বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আসন্ন কোরবানির ঈদে সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের জন্য ১০০টি গরু কোরবানি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সোমবার ফারাজ করিম চৌধুরীর ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, এত অল্প সময়ে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এবারের ঈদুল আযহায় আমরা ১০০টি গরু জবাই ও অসহায় মানুষের জন্য মাংস বিতরণ করব। মানবিক চেতনা থেকে আমরা এই মহৎ কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। ফারাজ বলেন, যেহেতু আমি নিয়ত করেছি, আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে ১০০টি গরু কোরবানি করব, ইনশাআল্লাহ।
ফারাজ করিম চৌধুরীর এই বক্তব্য সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তার মত এমন উদার মনের তরুণ যুবক খুব কমই দেখা যায়। তিনি বন্যার্তদের জন্য যা করলেন এমনটি অনেক বিত্তবান মানুষও করেনা। এর পূর্বে ফারাজ করিম বানভাসীদের ৫০০ ঘর বানিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছিলেন।