গত ২৫ জুন নানা জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রোববার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয় যান চলাচল। আর এরই জের ধরে নানা ভোগান্তি থেকে রীতিমতো রেহাই পেয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। তবে পদ্মাসেতু নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী।
বিশেষ করে, পদ্মা সেতুর আলোচনা সামনে আসলে যেন অবধারিতভাবেই চলে আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম। তিনি এই সেতুর বিরোধিতা করেছেন, সেতু যাতে না হয় তার জন্য তদবির করেছেন- এমনটাই সব সময় বলে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও একাধিকবার ড. ইউনূসের নাম নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন।
অবশেষে মুখ খুললেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস। বুধবার রাতে ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়। ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হিলারি ক্লিনটনকে ডেকে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করতে চাপ দেন। তবে এ অভিযোগের ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়, এটা নিছক কাল্পনিক।
পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার কথা আওয়ামী লীগ একাধিকবার বলেছে, তাই বিশ্বব্যাংক অফিসে একজন সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউনূস। জবাবে ইউনূস সেন্টার থেকে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন কখনো দুজন মানুষের দেখা করতে যাওয়া বা খেয়ালখুশির ওপর নির্ভর করে না। এগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
ইউনূস একটি ফাউন্ডেশনকে ৬ মিলিয়ন দিয়েছেন এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগের জবাবে বলা হয় যে এটি সম্পূর্ণ মানহানিকর অভিযোগ। ড. অধ্যাপক ইউনূসের সব ধরনের লেনদেনের হিসাব সংগ্রহ করেছে সরকার। কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।
এদিকে নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনূসের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র অভিযোগে এনে ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বলেছিলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন পদ্মা সেতু জুড়াতালি হচ্ছে, সেখানে কেউ যাবেন না। এখন উচিত তাকে পদ্মাসেতু থেকে ঠুস করে নিচে ফেলে দায়, এবং ড. ইউনূসকে দুটো চুবানি দেয়া উচিত।