প্রেম টেকানোর জন্য তিনশ টাকার দলিলে চুক্তি করেছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। তবুও টেকেনি সম্পর্ক। অবশেষে প্রেমের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মাহদিয়া জান্নাত মাহি (২২) নামে এক তরুণী। সেখানে গত তিনদিন ধরে অনশন করছেন তিনি।
অনশনে থাকা ওই তরুণী জানান, তিন বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিশোরগঞ্জের পূর্ব তারাপাসা এলাকার আজগর আলী ধনু ভূঁইয়ার ছেলে আশিকুর রহমান শুভর সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তার প্রেমিক শুভ তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করলে মাহি তাকে বিয়ে করতে বলে। এই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একমত না হওয়ায় তারা একটি চুক্তিতে পরিণত হয়।
ভুক্তভোগী মাহির দাবি, একজন আইনজীবীর মাধ্যমে উক্ত চুক্তি সম্পাদন করা হয়। চুক্তিতে উল্লেখ থাকে যে, পাঁচ বছর পর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে এবং এই সময়ের মধ্যে কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে না।এমনকি মানসিক বা শারীরিক নির্যাতনও করতে পারবে না। তবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে শুভ। এক পর্যায়ে তাকে গর্ভপাত করতে হয়।
মাহি বলেন, গত বছরের এপ্রিলে এক মাওলানার মাধ্যমে আমাদের দুজনের বিয়ে হয়। কিন্তু হঠাৎ শুভ আমার সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। কিশোরগঞ্জে তার বাসায় যাওয়ার পর শুভ আমাকে অস্বীকার করে। তার পরিবার ঘটনা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী ৫ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিকটিমকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। থানায় অভিযোগ করে একটি কপি নেয়।
৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে শিগগিরই এলাকার জনগণের সঙ্গে বসে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে শুভর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।