তাবলিগ জামাতে যাচ্ছে এমন কথা বলে বাড়ি হতে বের হওয়ার পর গত ২০ দিন যাবৎ নিখোঁজ হয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগর এলাকার চারজন যুবক। তাদের সাথে মোবাইলে কল দিয়েই যোগাযোগ করতে পারেনি তাদের পরিবারের সদস্যরা, বন্ধ রয়েছে তাদের মোবাইল। তারা ওসমানীনগর উপজেলাধীন দয়ামীর নামক গ্রামের বাসিন্দা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা সিলেটের দুই দুটি মারকাজ থেকে চিল্লায় যাননি। তাদের বিষয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছেন না তাদের আপনজনদের কেউ। তবে তাদের এইভাবে খোজ না পাওয়ার বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করেছে প্রশাসন।
নিখোঁজ হওয়া যুবকেরা হলেন-উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের দয়ামীর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে হাসান সায়িদ (২৪), মানিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিন (২৪), শেখ শামসুল হক স্বপনের ছেলে শেখ আহমেদ মামুন (২৩) ও মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাদিকুর রহমান (৩৩)।
এ ঘটনায় ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নিখোঁজ শেখ আহমেদ মামুনের বাবা শেখ শামসুল হক স্বপন
জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর তাবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ওই চার যুবক। কয়েকদিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তারা কাদের সঙ্গে তাবলিগ জামাতে গেছেন সে ব্যাপারে তথ্য নেই পরিবারের কাছে।
নিখোঁজদের মধ্যে শেখ আহমেদ মামুন সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়া হাসান সায়িদ একজন মুফতি, সাদিকুর রহমান দয়ামীরের লন্ডন ফিটনেসের ট্রেইনার ও সাইফুল ইসলাম তুহিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে হাসান সায়িদ ও সাদিকুর রহমান বিবাহিত।
শেখ শামসুল হক স্বপন যিনি নিখোঁজ হওয়া শেখ আহমেদ মামুনের পিতা তিনি বলেন, তারা চারজন একসঙ্গে তাবলিগ জামাতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে একসাথেই রওয়ানা দেয়। এরপর তারা আর বাড়ি ফেরেনি এমনকি ফোন করেও যোগাযোগ করেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারপর পেয়ে থানায় জিডি করেছি। পু’লিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল আমাদের সাথে কথা বলেছে এবং তারা তথ্য নিয়েছে। কিন্তু ২০ দিনেও তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জানতে চাওয়া হলে এসএম মাইন উদ্দিন যিনি ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্বরত তিনি বলেন, নিখোঁজদের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন তাদের আপনজনেরা। তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশের সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।