Sunday , January 12 2025
Breaking News
Home / Entertainment / একরাতেই ১০ বার হার্ট অ্যাটাক: মৃত্যুর আগে সব্যসাচীর উদ্দেশে শেষ পোস্টে কি লিখেছিলেন ঐন্দ্রিলা

একরাতেই ১০ বার হার্ট অ্যাটাক: মৃত্যুর আগে সব্যসাচীর উদ্দেশে শেষ পোস্টে কি লিখেছিলেন ঐন্দ্রিলা

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন ভারতীয় বাংলা ধারাবাহিক নাটকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এরই মধ্যে সম্প্রতি ব্রেন স্ট্রোক করে ভারতের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবারো কাজে মনোনিবেশ করবেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না আর।

গত ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে কাটান তিনি। সবাই একটা অলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করেছিল, হয়তো লড়াই করা মেয়েটি আগের মতো ফিরে আসবে। কিন্তু না! এবারও ঘুম ভাঙল না এই অভিনেত্রীর। সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চিরতরে চলে গেলেন।

এর আগে দুবার ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। আর সেই লড়াইয়ে পরিবার ছাড়াও যিনি শুরু থেকেই সবসময় পাশে ছিলেন তিনি হলেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিকা সব্যসাচী চৌধুরী। তিনি তার যথাযথ সেবা করেছেন। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এই দম্পতি। রূপকথাকে হার মানাবে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেমের গল্প।

এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সব্যসাচী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে একইভাবে তার পাশে ছিলেন। কিন্তু এত চেষ্টা করেও তারা অসম্ভবকে জয় করতে পারেনি। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেল মেয়েটি।

ঐন্দ্রিলা যেদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন সেদিন ছিল তার প্রেমিক সব্যসাচীর জন্মদিন। আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন অভিনেত্রী। এটাকে ঐন্দ্রিলার শেষ প্রেম নিবেদনও বলা যেতে পারে প্রেমিকার জন্য। দু’জনের হাসিমাখা মুখের ছবি দিয়ে ঐন্দ্রিলা লিখেছিলেন, আমার বেঁচে থাকার কারণ।

অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সর্বদা ঐন্দ্রিলার পাশে ছায়ার মতো ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি তুলে ধরছিলেন সবার কাছে।

About Rasel Khalifa

Check Also

তাহসানের পর এবার সুখবর দিলেন অভিনেত্রী মিথিলা

নতুন বছরের শুরুতেই আলোচনায় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। সাবেক স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *