জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প সহ মোট ১৫৫টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। এছাড়া মঙ্গলবার সকালে ৬ বার বড় কম্পন অনুভূত হয়।
জাপানে ভূমিকম্পে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সুনামির সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া ভূমিকম্পে অনেক বাড়িঘর ধসে পড়েছে। অনেক জায়গায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।
ভূমিকম্পের পর জাপানের সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কারণে অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় রাত কাটাতে হয়েছে অনেককে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হোনশুর প্রধান দ্বীপ ইশিকাওয়া। এর মাত্রা ছিল ৭.৫।
এদিকে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬ এবং সোমবার বেলা ১টা পর্যন্ত আরও ৯০টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সোমবার ওয়াজিমা বন্দরে প্রায় চার ফুট উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় ছোট ছোট টিউয়ের দেখা মিলেছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কারণে ৩২ হাজার ৭০০ মানুষ বিদ্যুৎ হারিয়েছেন।
জাপানের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, ১০,০০০ মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পে এক হাজার লোককে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানিয়েছে, তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চান যে, ভূমিকম্পের পর সাহায্যের কাজ শুরু হয়েছে।