রাজশাহীতে কাটা ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ একদিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে, যা নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এ প্রচারকে মিডিয়া ট্রায়াল হিসেবে অভিহিত করছেন। মাছ বিক্রেতাদের মতে, কাটা ইলিশ বিক্রিতে লোকসান এবং চাহিদার অভাব থাকায় তারা এই ধরনের বিক্রি করছেন না।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সাহেব বাজারে কাটা ইলিশ কিনতে আসেন। কিন্তু বাজারে গিয়ে তিনি হতাশ হয়ে ফেরেন, কারণ কাটা মাছের কোনও সন্ধান মেলেনি। তার মতো অনেক ক্রেতা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাটা ইলিশের প্রত্যাশায় বাজারে এলেও শূন্য হাতে ফিরেছেন।
ক্রেতা আজাদ বলেন, “বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেখেছিলাম কাটা মাছ বিক্রির খবর, কিন্তু এখানে এসে দেখি পুরো মাছেরই প্রচলন।” আরেক ক্রেতা জুয়েল মন্তব্য করেন, “এগুলো সব মিডিয়া ট্রায়াল ছাড়া কিছুই নয়।”
সাহেব বাজারের মাছ বিক্রেতাদের মতে, কাটা ইলিশ বিক্রির তেমন চাহিদা নেই, ফলে তারা এরকম বিক্রি থেকে বিরত রয়েছেন। রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয়ক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দর আলী বলেছেন, পিস হিসেবে ইলিশ বিক্রির বিষয়টি মনিটরিং করা হবে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, শুক্রবার রাজশাহীর সাহেব বাজারে ইলিশের দাম ওজন অনুযায়ী আলাদাভাবে নির্ধারিত হয়েছে: ৩০০ গ্রাম ইলিশ ৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ১,১০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ১,৭০০ টাকা এবং এক কেজি ইলিশ ১,৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।