একদিকে সংসার গড়ল তাহসান, অন্যদিকে ভাঙার গুঞ্জন মিথিলার

২০১৭ সালে শোবিজের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা হঠাৎ তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ভক্তদের চমকে দিয়েছিলেন। প্রায় ১১ বছরের সংসারের ইতি টানা এ খবর ছিল যেন “মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি”।

এর দুই বছর পর ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করে মেয়ে আইরাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় থিতু হন মিথিলা। অন্যদিকে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘ সাত বছর সিঙ্গেল ছিলেন তাহসান, তার জীবনে নতুন কোনো সম্পর্কের খবর শোনা যায়নি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ছড়িয়ে পড়ে তাহসানের বিয়ের খবর। রাতেই জানা যায়, ঢাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে ঘরোয়া আয়োজনে মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন তিনি।

তাহসানের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এই অভিনেতা। নবদম্পতিকে শুভকামনা জানিয়ে ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

তাহসানের দ্বিতীয় বিয়ের দিনে নেটিজেনরা মিথিলার প্রতিক্রিয়া জানতে মরিয়া হলেও অভিনেত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ওইদিন সকালে মেয়ে আইরার সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করেছিলেন মিথিলা, যা পরে ডিলিট করেন।

তাহসান জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলেও মিথিলা ও সৃজিতের সংসারে ভাঙনের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ে আইরাকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন মিথিলা। আইরাকে ঢাকার একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে আলাদা থাকছেন মিথিলা ও সৃজিত। এমনকি সৃজিতের জন্মদিনেও পাশে ছিলেন না মিথিলা। মেয়েকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট পাচ্ছেন সৃজিত, কিন্তু কী কারণে তাদের দূরত্ব, তা স্পষ্ট নয়।

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সৃজিতকে বিয়ে করায় মিথিলাকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে তিনি সেসব উপেক্ষা করেছেন। এবার তাহসানের বিয়ের খবরে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন মিথিলা। তার বর্তমান বৈবাহিক সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ নিয়ে নেটিজেনদের কৌতূহল যেন থামছেই না।


বিমানে ওঠার আগ মুহুর্তে গ্রেপ্তার ছাত্র’লীগ নেতা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কলেজছাত্র মুরাদ হাসান (১৭) হত্যা মামলার মূল আসামি এবং ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিমকে বিদেশে পালানোর চেষ্টাকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, “হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। গোপন সূত্রে জানতে পারি, মূল আসামি হামিম বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরে শুক্রবার রাতে কাতারে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে নান্দাইল থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। বিস্তারিত পরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।”

গ্রেপ্তার হওয়া আশরাফুল আলম হামিম উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে এবং নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেতা। নিহত মুরাদ হাসান নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার বাসিন্দা মো. তফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার অনুযায়ী, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর হয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন মুরাদসহ কয়েকজন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা তাদের বাধা দেন এবং ধাওয়া করেন।

ধাওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মুরাদকে ধরে ফেলে। তাকে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়। অন্যরা পালাতে সক্ষম হলেও মুরাদ মাটিতে পড়ে গেলে আশরাফুল আলম হামিম তার বুকের ওপর উঠে ছুরিকাঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মুরাদ মারা যান।

মুরাদের পরিবার এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকেই প্রধান আসামি হামিম পলাতক ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তার হত্যাকাণ্ডের বিচারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।