দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। আর এই অবস্থার মধ্যে হঠাৎই লোডশেডিং দেখা দেয়ায় রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায় সারা-দেশজুড়েই। তবে আগামী এক মাসের মধ্যেই এ সমস্যা আর থাকবে না বলে আশাবাদি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। এখন একটু কম আয়র (আসছে), আর এখান (এক) মাস পরিষ্কার আইজিব (হয়ে যাবে) ইনশাআল্লাহ। আমরা একটু অসুবিধার মধ্যে আছি, টাকার ঘাটতি পড়ে গেছে। আমরার লাগি (জন্য) না, অন্যান্য দেশের মাতব্বরে লাড়াই (যুদ্ধ) করের। এটা আমাদের উপর এসে পড়েছে। আমরা ধৈর্য ধরে বসে আছি। দেড় মাসের উপরে। সবকিছু ঠিক থাকবে.’
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার এফআইডিবি হলে নিজ তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার আরও বেশি কিছু করার চেষ্টা করেছে। সরকার আমাদের সঙ্গে আছে। আরেকটা কথা শেখা হাসিনার, যেটায় আমি অবাক হয়ে গেছি। যারা অসহায় এবং ভূমিহীন, জমি নেই, বাড়ি নেই, তারারে দুই শতক জায়গা সাফ কেওয়ালা কইরা ঘরসহ দের।। জীবনে এর চেয়ে ভালো কাজ দেখিনি।
তিনি বলেন, “এবার বন্যায় গরিবরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচাঘর, সেনের ঘর নিছেগি ঠেলে। সরকার সাহায্য করছে আরও করবে। সরকারকে একটু সময় দেওয়ার অনুরোধ করছি। শেখ হাসিনা গরিবের সরকার। ভোট দিয়ে সরকার বানিয়েছে। আপনারা ভোট দিয়েছেন এর জন্য সরকার হয়েছেন। আবার ভোট দেওয়ার সময় আসবে, ভালো লাগলে ভোট দিন না দিলে নাই। আল্লাহ সাক্ষী, ন্যায় বিচারের ভোট দিন, যে আপনার উপকার করছে তাকে ভোট দিন। যে উপকার করছে না তাকে ভোট দেবেন না।
এর আগে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যায় রীতিমতো বাড়ি-ঘর হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়েন লাখ লাখ মানুষ। আর এ অবস্থায় তাদের পাশে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এ সরকার।