বাংলাদেশে এই প্রথম সরকার তিনটি কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে প্রতিটি ফার্মের ডিমের দাম হবে ১২ টাকা, আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম পাওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র। স্থানীয়রা জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম কিনতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, উৎপাদন খরচ হিসাব করে তারা দেখেছেন ডিম, আলু ও পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সে কারণে কৃষি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়।
বর্তমানে বাজারে চারটি খামারের ডিম ৫০ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানোরও ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রক বলেছিল যে জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর শুক্রবার থেকে নজরদারি চালাবে যে তিনটি কৃষি পণ্য কী দামে বিক্রি হচ্ছে তা দেখতে।
তবে ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম কিনতে হচ্ছে। এদিন ঢাকার মগবাজার আমবাগানসহ অনেক স্থানে মুরগির ডিম বিক্রি হয় ১৩ টাকায়। এছাড়া আলু ৫০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা এবং ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অনেক ব্যবসায়ীর দাবি, তারা তিনটি কৃষিপণ্যের নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে অবগত নন। অনেকের দাবি, তাদের পণ্য বেশি দামে কেনা হয়েছে, তাই তারা সে অনুযায়ী বিক্রি করছেন। হৃদয় হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমি ১২ টাকা ৫০ টাকায় ডিম পাইকারি কিনেছি। সে হিসেবে একটা ডিম ৫০-৫৩ টাকায় বিক্রি না করলে আমাদের খরচ বাড়বে না।’ বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি দাম না কমলে খুচরা দামও কমবে না।