রাজধানীর একটি নিম্ন আদালতের সামনে থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে করে দুজন জঙ্গীকে ছি’নিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়েছে। ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসন। এদিকে বিষয়টিসহ আরো বেশ কয়েকটি কারণে কারাগার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বড় ধরনের রদবদল ঘটালো প্রশাসন। জানা গেছে তাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য ৫ জনকে বদলি করা হয়েছে।
কা’রাগারের ৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল হক, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ আলতাব হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের কারা মহাপরিদর্শক একেএম ফজলুল হক, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল আজিজ ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তৌহিদুল হককে রংপুরে বদলি করা হয়েছে। কারা ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. আলতাব হোসেনকে রংপুর থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক একেএম ফজলুল হককে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কাশিমপুরের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল আজিজকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কা”রাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সামলে আসা জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালাকে পাঠানো হয়েছে কাশিমপুরে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ এসব বদলির আদেশ জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে পুরান ঢাকার জনাকীর্ণ আদালত থেকে নিষি’দ্ধ জ”ঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) নেতা মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছি”নিয়ে নিয়ে যায় তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগীরা।
আদালতে হাজির করানোর উদ্দেশ্যে ঐ দুই আসামিকে ওইদিন কাশিমপুর কারাগার হতে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার পর ঐ দিনেই প্রসিকিউশন পুলিশের একজন পরিদর্শকসহ সর্বমোট ৫ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দেয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে এই ঘটনায় প্রশাসন বা পুলিশ সদস্যদের কারো কোনো গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।