গত ২৫ জুন নানা জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তবে এরপর রোববার সকাল ৬ টা থেকে জনসাধারনের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দিতেই একের পর এক ঘটছে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আর এরই জের ধরে আবারও পদ্মাসেতু নিয়ে ঘটলো অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মো. আলমগীর তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর বলেছেন, তিলকে তাল করে কাবিননামার টাকা আদায় করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ সাজানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। আমি স্ত্রীকে পদ্মা সেতুর টোলের হিসাব শিখিয়েছিলাম, নির্যাতন করিনি।
স্কেলের মতো বাঁশের একটি কাঠি দিয়ে হাতে দুই-একটা বাড়ি মেরেছিলাম গুণ না পারায়। অপমানে এখন আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে আলমগীর তালুকদার এমনটাই জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদ্মা সেতুর টোল আদায় দেখে কৌতূহলবশত আমার স্ত্রীকে এক মাসের টোল আদায় করতে বলেছিলাম। এই সময়ে আমি ৩০ কে ৩০ দ্বারা গুন করার সহজ পদ্ধতিও শিখেছি। মাদ্রাসা থেকে হাইস্কুল পাশ করার পরও সে গণিত করতে না পারায় তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এক-দুইবার আঘাত করি। এরপর সে তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে বাসা থেকে বের হন। তিন দিন পর, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজানোর জন্য আমার স্ত্রীকে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শুনি থানায় যোগাযোগ করেন। এটা আমার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে।
তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন।
তবে মেয়েকে নির্যাতন করায় মো. আলমগীর তালুকদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্বশুর মোস্তাক আহমেদ।