আমি পেশায় একজন ডাক্তার। সেই হিসেবে আমি একটা ফ্রাস্ট্রেশনের কথা বলি। যদিও আমি এইসব বিষয় নিয়ে কখনো কোন ধরনের কথা বলতে চাই না। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে যে সমস্ত ডাক্তারেরা রয়েছেন তাদের এই ধরনের কথা বললে মনে করবে যে আমি তাদেরকে অপমান করার জন্য কথাটা বলতেছি। সেই সময় তারা এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যে, আমি একজন ডাক্তার হিসেবে খুব বড় ভালো ছিলাম না, অনেক অনেক খারাপ ছিলাম। আর সেই কারণে আমি ডাক্তারি ক্যারিয়ারটাতে নিজেকে দাঁড় করাতে পারি নাই। আল্লাহ বাচাইছেন যে আমারে বাংলাদেশে ডাক্তারি করতে হয় নাই।
যাইহোক, আমার ফ্রাস্টেশন হচ্চে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইব করার সাধারণ কৌশলটি না জানা। যদিও আমি মেডিকেল পাশ করার পর এইটা শিখছি। তাই অযথা এতো এন্টিবায়োটিক ইউজ করা হয় যার কোন জরুরতই নাই। যে স্থানে সংক্রমণ হয় সেখানে সাধারণত কী ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটায় তা জানতে হবে। এইটা তো আন্দাজে দিলে চলবে না। একটি উদাহরণ দিই, বিরল কিছু ক্ষেত্র ছাড়া, ত্বকের সংক্রমণ প্রায় সবসময় গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। আপনি এটিকে তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন দিয়ে চিকিত্সা করতে পারবেন না, তবে তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন গ্রাম-পজিটিভ চিকিত্সার জন্য উদ্ভাবিত হয়নি। আপনি বিয়ার ড্রেস পইরা ঘুমাইতে যাইতে পারবেন না তা না, তবে বিছানায় যাওয়ার জন্য আলাদা পোশাক রয়েছে।আপনি বিয়ার ড্রেস পইরা ঘুমাইতে যাবেন কেন? বিয়ার ড্রেস একদিন পরিধান করার বানানি হইছে। আপনি তলোয়ার দিয়ে শেভ করতে পারবেন না, তা না পারবেন, কিন্তু তলোয়ার তো দাড়ি কামানির জন্য বানানি হয় নাই।
বাংলাদেশের বেশীরভাগ ডাক্তার মনে করেন, থার্ড জেনারেশন মানে পাওয়ারফুল এন্টিবায়োটিক, ফোর্থ জেনারেশন মানে আরো পাওয়ারফুল। কীয়েক্টা অবস্থা রে ভাই। বাংলাদেশে যেই এন্টিবায়োটিক সবচেয়ে বেশী ইউজ হওয়ার কথা সেইটাই সবচেয়ে কম ইউজ হয়। বাংলাদেশে যত টাকা আমরা এন্টিবায়োটিক কিনে খর্চা করি সেইটা অর্ধেকে নামায়ে আনা যায় যদি আমরা এন্টিবায়োটিক ইউজের কৌশলটা জানি।
আমি অলরেডি এটা ভাইবা ফালাইছি যে বর্তমান সময়ের যারা ইয়াং ডাক্তার এবং ফার্মাসিস্ট রয়েছেন, তাদেরকে আমি এইডা শেখামু। হুদাই হুদাই বক্বাবাজি করে লাভডা কি। যদি আমার এই বিষয়ে রাজি থাকেন তাহলে কমেন্ট বক্সে একটা ধাক-কা দিয়েন। জুমে আইসা ঘন্টা খানেকের একটা ক্লাস নিমুনে। শনি বা রবিবারের দিকেই ভালো হবে।