ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম যিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকে হ”/ত্যাকান্ডে অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হ”/ত্যাকান্ডের নীল নকশাকারী ব্যক্তি। তার সেদিনকার আচারনই বলে দেয়, তিনি ভিন্ন কিছু আশা করছিলেন। তিনি আরো বলেন, তার দল এখনও তার মনোভাবেই চলছে।
তিনি বলেন, জিয়ার দল এখনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চক্রান্ত করছে। তিনি প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পছন্দ করেন না জানিয়ে তিনি দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে ‘শেষ যুদ্ধ’ করার জন্য ডাক দেওয়ার আহ্বান জানান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে ১৪৭ বিধির ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানি প্রেতা”ত্মারা ও জিয়াউর রহমানের দল এখনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। একসময় সে”নাবাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের জনগণকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতা দখল করে। সে দিন শেষ, সাম”রিক বাহি’নী দিয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না।
বিএনপিকে শেখ হাসিনার কাছ থেকে বুদ্ধি নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বিদেশিদের কাছে যান, ধর্না দেন, বিদেশিরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। আপনারা বাংলার মানুষের কাছে যান, আর যদি না পারেন দলবল নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আসেন। তাকে গিয়ে বলেন, দলের তো এই অবস্থা, কী করলে ভালো করা যাবে। নেত্রী ঠিকই আপনাদের সুবুদ্ধি দেবেন, ভালো বুদ্ধি দেবেন। আপনারা সেভাবে চলেন, দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন।
দলের সভাপতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি) যা শুরু করেছেন। আমি মনে করি আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা দেওয়া উচিত, প্রতিদিন লড়াই করতে আর ভালো লাগে না। একটা শেষ যুদ্ধের খবর দেন, এই যুদ্ধে হয় তারা থাকবে, না হয় আমরা থাকব এই দেশে। আর কোনো বিকল্প নাই। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে আর ভালো লাগে না। তাদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া যায় না, আমার মনেহয় নতুন প্রজন্মসহ সবাই মিলে এই কাজটা এখনই করা উচিত।
জিয়াউর রহমান পাকিস্তান আমলে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-তে কাজ করতেন দাবি করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে তার দহরম-মহরম ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়য”ন্ত্র বঙ্গবন্ধুকে হ’/ত্যার নীলনকশা তৈরি করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে সে”নানিবাসের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণত সিনিয়র অফিসাররা প্যারেড-পিটি করেন না। তারা সাধারণত আট বা নয়টার দিকে অফিসে যায়। কিন্তু সেদিন জিয়াউর রহমান কেন এত তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হয়েছিলেন। কারণ তিনি সজাগ ছিলেন, তিনি সারা রাত জেগে অপারেশন পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশন সফল হওয়ায় সেভ করে রাজার হালে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিছিলেন।
এদিকে বিএনপি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগকে সরকার থেকে উৎখাত করতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে, কোথাও কোথাও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি’র আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ালীগের নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের নামে কোন ধরনের হা”মলা ভা”ঙচুরের ঘটনা ঘটালে তার কড়া জবাব দেয়া হবে।