বাংলাদেশের মানুষের আচার-ব্যবহার বদনায় না কখনো। স্বভাব সুলভ ভাবে তারা দেশের যেসব কর্মকান্ড করে ঠিক তেমনি বাহিরের দেশে গেলে করে থাকে। কিন্তু বাহিরে দেশে যে বিষয়টি সমস্যার সৃষ্টি করে সেটি না করায় উচিত বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য নিচে সেটি তুলে ধরা হলো।
প্যারিসে প্রচুর বাংলাদেশী এখন। আমি যখন এসেছিলাম তার চাইতে অনেক বেশী। আপনি মেট্রো স্টেশনে দাড়ায়ে থাকলে মেট্রোতে চড়লে, বাসে চড়লে একজন অন্তত বাংলাদেশী পাবেনই। একশো জনকে দেখলে আপনি দেখবেন অন্তত পঞ্চাশজন উচ্চস্বরে মোবাইলে কথা বলেই চলছে। সেইখানে কাকে কতো টাকা দিতে হবে থেকে বাড়ির মুর্গি কয়টা ডিম দিয়েছে সেটাও থাকে। আমরাও তো কথা বলি ভাই। আমাদেরও আত্মীয় স্বজন আছে। পাব্লিক প্লেস ফোনে আলাপের জায়গা না। অন্য মানুষেরা এতে খুবই বিরক্ত হয়। অন্য কোন মানুষকে দেখছেন এইভাবে কথা বলতে। জরুরি ফোন এলে ধরে, কিন্তু খুব নিম্নস্বরে আলাপটা দ্রুতই শেষ করে।
প্যারিসের বাংলাদেশীরা মনে কিছু নেবেন না, আমি আপনাদের ছোট করার জন্য লেখাটা দেই নাই। আমার লেখাটা দেখলে একটু খেয়াল রাখবেন। একটা দেশের ফেইস অন্য দেশে এইভাবেই তৈরি হয়। এমন কাজগুলো করলে, সে আপনাকে দেখবে তার স্বাভাবিক জীবনের মধ্যে একটা আপদ হিসেবে। আপনি এই দেশে তো আপদ হিসেবে আসেন নাই। আপনি বাস ট্রেন থেকে নেমে একটু আরামেই কথা বলেন। আপনাকে উচ্চস্বরে কথা বলতে হয় কারণ বাস বা ট্রেনের একটা শব্দ আছে সেটা ছাপিয়ে আপনাকে গলা চড়িয়ে কথা বলতে হয়। ভিনদেশেই শুধু না এটা বাংলাদেশেও প্রাক্টিস করতে পারেন। লাভ আছে ক্ষতি নাই।
প্রসঙ্গত, কারর বিরুক্তের কারন হওয়া যথেষ্ট নেতিবাচক কারন অপরের ক্ষতি হলে ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। বিষয়টি শুধু নিজের ওপর দিয়ে যায়না প্রশ্ন উঠে দেশও নিয়ে।