তারকা জগতের ব্যযক্তিরা প্রায় সময় নানা কারনে সমালোচকদের মাঝে ট্রলের শিকার হয়ে থাকেন। এই তালিকায় বলিউডের নামি-দামি এবং তরুন উদীয়মান তারকারাও রয়েছে। সম্প্রতি ট্রলের শিকার হয়েছেন শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। এবং তিনি নিজেই এই ট্রলের বিষয়ে জানালেন বেশ কিছু কথা।
বলা চলে প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো না কোনো বিষয়ে ট্রলের শিকার হন তাঁরা। আর এত এত উপহাস মোকাবিলা করতে করতে এখন ট্রলপ্রুফ হয়ে গেছেন কাপুররা। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে পারিবারিক ভাবে ট্রলিংয়ের শিকার হওয়া প্রসঙ্গে এ কথা বলেন জাহ্নবী কাপুর।
পারিবারিক ভাবেই বিনোদন জগতের মানুষ জাহ্নবী কাপুর। মা শ্রীদেবী ডাকসাইটে অভিনেত্রী, বাবা বনি কাপুর বড় প্রযোজক। ভাই অর্জুন কাপুর, চাচা অনিল কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর এবং কাজিন সোনম কাপুরও অভিনেতা। ছোট বোন খুশি কাপুরকেও অভিনয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। তাঁদের কেউ না কেউ কোনো না কোনো ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও না কারও দ্বারা ট্রল হচ্ছেন। ফলে বলা চলে, বিষয়টায় তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
জাহ্নবী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমালোচনাকে তিনি যথেষ্টই গুরুত্ব দেন। তবে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই রকম প্রভাবই আছে। তিনি বলেন, ‘একটা দিক থেকে আমি এই ব্যাপারগুলোকে বেশ গুরুত্ব দিই। এসব দেখে বুঝে নিই মানুষ আসলে কী চায়, কোথায় আমার ঘাটতি আর কিসে আরও পারদর্শী হতে হবে। আমি মনে করি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসব বুঝে নেওয়ার জুতসই প্ল্যাটফর্ম। আবার এখানে যাঁরা মত দেন, তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নন। যদিও আমি এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। পারিবারিক ভাবেও আমরা এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এসব থেকে আমাদের যতটুকু পারা যায়, গ্রহণ করা উচিত।’ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে অনিল কাপুর বলেন, ‘আমরাও ট্রলিংয়ের শিকার হয়েছি, তবে সেটা জাহ্নবী, সোনম, রিয়া কাপুর, হর্ষবর্ধন কাপুর বা অর্জুন কাপুরের মতো না। আমি নিশ্চিত, এরা আমাদের চেয়ে নির্মম ট্রলিংয়ের শিকার। তবে এই তরুণেরা দ্রুত শিখছে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে বশে আনতে হয়।’
“ধড়ক” সিনেমার মধ্যে দিয়ে বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেন জাহ্নবী কাপুর। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শক মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বর্তমান সময়ে তিনি নতুন সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।