সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ সরকার। স্বাধীনতার এই স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি এই সফলতার জের ধরে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিশেষ স্বীকৃতি। এবার এই উন্নয়ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বললেন বেশ কিছু কথা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ একটা চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো দেশে পরিণত হয়েছে। আজকে বিশ্বের যে ১০টি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে; তার মধ্যে বাংলাদেশ একটা অন্যতম স্থান দখল করে নিয়েছে। রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে সাইক্লিং শোভাযাত্রার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আনসার বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণসহ গুরত্বপূর্ণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার। বিজয়ের মাসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কারণে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারছি। এটা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর যেমন রয়েছে গৌরবৌজ্জ্বল অবদান, তেমনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সদা তৎপর রয়েছে।
সাইক্লিং শোভাযাত্রা আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে এটি আরেক বিজয়। এ বিজয় আনসার-ভিডিপির এবং আমাদের। এই বিজয়ের দিনে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এমন কীর্তির জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকসহ সকল সাইক্লিস্ট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৪ আসনের শাহীন আক্তার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে দেশীয় শিল্পীদের গান ও নৃত্য এবং কবিতা আবৃতির মাধ্যমে ১০০টি ফানুস উড়িয়ে এবং ৫০টি আতশবাজির ঝিলমিল আলোতে আলোকিত করা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আকাশ।
ইতিমধ্যে বিজয়ের মাস এবং ৫০ বছরের স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের কার্ষক্রম শুরু হয়েছে। এমনকি এই মাস ধরেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব পালিত হচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে। এই অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সঠিক এবং সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার তাগিদে নিরলস ভাবে কাজ করছে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিরা।