দুই সপ্তাহ আগে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে আলোচিত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। এখন কেমন আছেন মাহি? মাহির বিচ্ছেদ, নতুন জীবন, সন্তান, অভিনয় ও রাজনীতি নিয়ে জেনেছেন সুদীপ কুমার দীপ।
কেমন আছেন, কোথায় আছেন,
আলহামদুলিল্লাহ, সবার দোয়ায় ভালো আছি। এখন (গতকাল) গুলশানের একটি পার্লারে আছি।
চুলের চিকিৎসা করতে এসেছি। অনেক দিন ব্যস্ততার কারণে নিজের যত্ন নিতে পারিনি।
একা জীবন কেমন যাচ্ছে?
কোথায়! আমি একা নই। আমার সাথে আমার সন্তান ফারিশ আছে।
আমার কাছে যদি সে থাকে তবে পৃথিবীতে আমার আর কাউকে দরকার নেই। অনেকে বলেন, মায়েরা বিচ্ছেদের পর সন্তানদের ‘সিঙ্গেল মা’ হয়ে যান। আমি এর সাথে একমত নই। আমি সবসময় ফারিশের মা বাবা হতে চাই।
আমরা চাই না কোনো তৃতীয় পক্ষ আমাদের মধ্যে আসুক।
জীবন নতুন করে সাজানোর কথা বলেছিলেন…
আমি তো কেবল ডিভোর্সের বার্তা দিলাম। এর মধ্যে নতুন করে জীবনের কথা ভাবতে গেলে মানুষ আমাকে খারাপ ভাববে। আমি তেমন খারাপ না। আপাতত জীবন যেমন চলে তেমনি জীবনকে চলতে দিন।
একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এর পর আমি এখন বাস্তবে ফিরে এসেছি। সৃষ্টিকর্তা সবসময় আমাকে ভাল এবং খারাপ মধ্যে পার্থক্য শিখিয়েছেন। হয়তো একটু সময় লেগেছে। সেই ফাঁকে গোছানো ক্যারিয়ার, সাজানো জীবন তছনছ হয়েছে। কিন্তু আমি আবার ফিরতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি এবারও পারব।
অনেক দিন ধরেই বলা হচ্ছে, শিগগিরই নতুন সিনেমায় দেখা যাবে আপনাকে। এটা আসলে কখন?
আমার কাছে অনেক অফার ছিল। বড় প্রযোজক এবং ভালো প্রোডাকশন হাউস আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিল। রাজি হলে এ বছর অন্তত পাঁচটা ভালো ছবি করতে পারতাম। কিন্তু আমার কারণে তা হয়নি। আমি যেন সবাইকে শুধু ‘না’ বলছিলাম? নির্বিচারে সব ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে আমি যেমন বলেছি, আমি বাস্তবে ফিরে এসেছি। ভালো অফার পেলে ফেরত দেব না। জীবন থেকে অনেক সময় চলে গেছে। একজন গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীর ১০ থেকে ১৫ বছরের ক্যারিয়ার থাকে। আমি ইতিমধ্যে ১০ বছর পার করেছি। এখন একের পর এক কাজ করতে চান। ভালো হলে মাহির মুখ থেকে কেউ ‘না’ শুনবে না।
তাহলে রাজনীতি?
অভিনয় আর রাজনীতি চলবে সমানতালে। আমি প্রথমে কেন্দ্র থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমি আমার মন পরিবর্তন করেছি। শৈশব-কৈশোর থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। শুধু অভিনয় নয়, রাজনীতিতে ক্যারিয়ারও শুরু করতে প্রস্তুত।