বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। তার স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না বরং তাকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তার চিকিৎসকেরা। খালেদা জিয়ার কারাদন্ড হওয়ার পর তিনি তৃতীয় দফায় বিশেষ বিবেচনায় ছয়মাসের জন্য বাসায় রয়েছেন। এই সময়ে খালেদা জিয়া দেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপির সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকা এবং চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক মানবতা দেখিয়েছেন, তবে আরেকটু মানবতা প্রত্যাশা করেন বলে জানান বিএনপির এই সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিডনি, লিভার, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আ’/ক্রা’ন্ত হয়ে হাসপাতালে মৃ’/ত্যুর সঙ্গে ল’/ড়ছেন। প্রধানমন্ত্রী অনেক মানবতা দেখিয়েছেন। আরেকটু মানবতা আমরা প্রত্যাশা করি।’
‘একজন মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন তাকে (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়। এটা আমাদের জোরালো দাবি থাকবে’, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার বাতের ব্যথা এবং ডায়বেটিসসহ আরো বেশ কিছু বার্ধক্যজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার কারনে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে। তার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, তার এই সকল শারীরিক সমস্যার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে না। তার আরো উন্নত চিকিৎসা দরকার যেটার জন্য মাল্টি-টুলস ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সম্ভব কিন্তু সেটা বাংলাদেশে নেই। এদিকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এবং খালেদা জিয়ার স্বজনেরা তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুমতি প্রদানের আবেদন করলেও, এখনও সরকারের তরফ থেকে কোনো সাড়া পাননি।