গত বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি রেকর্ডিং প্রকাশ পাওয়ার পরপরই নানা সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এমনকি তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি জানিয়ে গতকাল শনিবার মহানগরের গাছা এলাকার নিজ বাসভবনে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যেকোনো নাগরিকের তার ঘরের ভেতর স্বাধীনভাবে বসবাস করার এখতিয়ার রাখে। একজন কাফের বা মোনাফেক ছাড়া কারো ঘরের ভেতর কেউ অস্ত্র বা বোমা বা ক্যামেরা পাঠাতে পারে না। আমাকে মারার জন্যে খুনিরা বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করছে।’
মেয়র বলেন, ‘যারা ২০১২ ও ২০১৩ সালে আমাকে মারার করার জন্য পাঁয়তারা করেছিল তারা এখনও সজাগ আছে। তারা এখনও আমাকে ও আমার পরিবারকে মারার জন্য পরিকল্পনা করছে। আমাকে মারার জন্যে আমার ঘরের ভেতর ক্যামেরা পাঠানো হয়েছে। আমার মেয়রপদ ও আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করার জন্য, আমার ৪০ লাখ নগরবাসীকে অপমান করার জন্য কীভাবে তারা বেডরুমে ক্যামেরা পাঠায় তার বিচার আমি রাষ্ট্রের কাছে চাই।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অপরাধ করলে আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে যে শাস্তি দেবেন আমি তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী লুটপাটকারীদের এই সিটি করপোরেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে বিদ্রুপ মন্ত্যের একটি রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো আলোচনায় আসেন মেয়ের জাহাঙ্গীর। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি।