পুলিশ হলো জনগনের বন্ধু। সমাজের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও জনগনের হীবনের নিরপত্তা প্রদান করা পুলিশের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। পুলিশ তাদের সর্বত চেষ্টার দ্বারা জনগনের পাশে থেকে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সেই পুলিশই যদি হয়ে দঁড়ায় দুঃখের কারণ তাহলে বিষয়টি সত্যিই খুব খারাপ। সম্প্রতি জানা গেছে চাঁদা না পেয়ে রেস্তোরাঁ কর্মচারীদের মারধর করেছে এক এএসআই এবং সেই অপরাধে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টের দুই কর্মচারীকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে আসামি ভোল্টা থানার এএসআই বারেককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গোলাকান্দাইল মহাসড়কের পাশে সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি একটি খাবার হোটেলে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি বসে থাকা এক যুবককে চড় মারতে থাকেন। তাকে মারধর করে সেখান থেকে নিয়ে যান। একইভাবে আরেকটি ভিডিওতে আরেক যুবককে মারধর করতে দেখা গেছে।
সুগন্ধা রেস্টুরেন্টের কর্মচারী সাগর ও নাঈমকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারা জানান, প্রতি মাসে ভোল্টা ফাঁড়ির পুলিশ ২ হাজার টাকা নেয়, এই টাকা বেতন হিসেবে দিতে হয়। ঈদের ছুটিসহ নানা কারণে টাকা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তাই পুলিশ কর্মকর্তারা সেদিন এসে তাদের মারধর করে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত পুলিশ এএসআইকে ভুলতা ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পুলিশ যদি এমন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটায় তাহলে জনগন অচিরেই পুলিশের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে। পুলিশই একমাত্র জনগনের সবথেকে কাছের নিরাপত্তা দানকারী বন্ধু। সেই বন্ধুই যদি করে বিশ্বাসঘাতকতা তাহলে বিপদগ্রস্থ মানুষ যাবে কার কাছে।