বিএনপির সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ বিবেচনায় প্যারোলে মুক্তি প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছেন। এদিকে দলটি থেকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন নামার কথা বললেও সে আন্দোলন এখন অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে। এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলল, আর তাই তার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য তার ছোট ভাই ফের আবেদন করেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী তিনি আর বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। নিউইয়র্ক থেকে ফোনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে, ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে তার পরিবার। ওই দিন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিটি পৌঁছে দেন। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। চিঠিতে তিনি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতিরও অনুরোধ করেন।
সরকার আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ আমলে নিলে ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকতে পারবেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দেশে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর পরিবারের অনুরোধে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েকবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার বাসভবন থেকে চিকিৎসা নিবেন এবং এ সময়ের মধ্যে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হলো। তবে শর্ত একই রয়েছে, তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে। এদিকে বলা হয়েছিল, তিনি বাইরে থেকে চিকিৎসক আনিয়ে দেশেই চিকিৎসা নিতে পারবেন।