সবাই নিজের টাকায় নিজের বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সারাজীবন পরিশ্রম করেও নিজের আশ্রয় গড়ে তুলতে পারেন না। তাদের চিরকাল অন্যের বাড়ির ভাড়াটিয়া হয়ে থাকতে হবে। তারা কখনই বাড়ির মালিক হতে পারে না। অনেকেই কাজের জন্য বড় শহরে পাড়ি জমায়, সেখানে থাকার জায়গা দরকার। তবে বাসা ভাড়া দেওয়ার আগে মালিকের কিছু জিনিস সবসময় মাথায় রাখা উচিত।
ব্রিটিশ আমল থেকে ভারতে কিছু আইন তৈরি করা হয়েছে, যেগুলো ভূমি অধিগ্রহণ আইন নামে পরিচিত। এই আইনটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এই আইন কোনো সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অনেক সময় বাড়ির মালিকরা তাদের অসাবধানতার কারণে তাদের সম্পত্তি হারান। তাই বাড়ির মালিকানার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এই ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম হল প্রতিকূল অভিক্ষেপ। এই নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি মালিকের সম্মতিতে একটি সম্পত্তিতে টানা 12 বছর বসবাস করেন, তবে সেই সম্পত্তির উপর তার দাবি থাকবে। এই প্রতিবেদনে সীমাবদ্ধতা আইনের 65 ধারার কিছু বিধান তুলে ধরা হয়েছে।
একজন ভাড়াটিয়াকে জমির মালিক কখনই জমি থেকে সরাতে পারে না, তাহলে সে জমির মালিকানা হারায়। তাহলে জমির মালিক কে? জোরপূর্বক দখল এবং মালিকের সম্মতি না থাকলে ভাড়াটিয়াকে অবশ্যই জমির মালিক হতে হবে।
আরেকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, যদি জমির মালিক বা বাড়ির মালিক বারো বছর ধরে ওই বাড়ির প্রতি কোনো আগ্রহ না দেখান। ভাড়াটিয়া যদি একা বাড়ির দেখাশোনা করে তবে সে অবশ্যই দাবি করতে পারে। তবে অধিগ্রহণকারীর অবশ্যই জমির দলিল, বৈদ্যুতিক বিল, পানির বিল, ট্যাক্সের রশিদ ইত্যাদি থাকতে হবে। আদালতে মামলা করা যেতে পারে এবং ভাড়াটিয়া যদি সমস্ত ধাপ সঠিকভাবে অতিক্রম করে তবে সে মালিকানা পাবে।