ভোটের মধ্যে দিয়ে জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবং প্রতিদ্বন্ধীরা বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করে থাকে জয়ের লক্ষ্যে। তবে এবার ভিন্ন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। এই নির্বাচনে একই প্রতীক নিয়ে দুই প্রার্থী নির্বাচনের পোষ্টার ছাপিয়েছে। এতে করে ভোটাররাও বেশ বিপাকে পড়েছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর একই প্রতীকের (মোরগ) পোস্টার পাওয়া গেছে। পোস্টার লাগানোর ৫ দিন পর বিষয়টি সবার চোখে আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা। একই প্রতীকের পোস্টার ছাপানো ওই দুই সদস্য হলেন, উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান ও মোক্তারুজ্জামান তুহিন। জানা গেছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয় উপজেলা নির্বাচন কমিশন। এতে ‘মোরগ’ প্রতীক পান আক্তারুজ্জামান তুহিন। আর ‘টিউবওয়েল’ প্রতীক পান নুরুজ্জামান। এরপরও দুজনই মোরগ প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন। এতে করে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন সাধারণ ভোটাররা।
৬নং ওয়ার্ডের ভোটার আশরাফুল আলম বলেন, দুই প্রার্থীর মোরগ মার্কার পোস্টার লাগানো হয়েছে, প্রচারও চলছিল। পরে বিষয়টি চোখে এলে অপর প্রার্থীকে বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে মেম্বর মার্কার প্রর্থী মোক্তারুজ্জামান তুহিন বলেন, আমি মোরগ প্রতীক পেয়েছি। তার সমস্ত কাগজ পত্র আমার কাছে আছে। কিন্তু নুরুজ্জামান কী কারণে মোরগ প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তাই বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অপর প্রার্থী নুরুজ্জামান বলেন, আমি টিউবওয়েল প্রতীক পেয়েছি। ভুলবশত মোরগ প্রতীকের পোস্টার ছাপানো হয়েছে। পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হয়। হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, এক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। ভুলবশত একই প্রতীক দুই প্রার্থীই ব্যবহার করেছেন।
অবশ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য দুই প্রার্থী দুটি ভিন্ন প্রতীক পেয়েছেন। প্রার্থী নুরুজ্জামান পেয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীক। এবং প্রর্থী মোক্তারুজ্জামান পেয়েছেন মোরগ প্রতীক। নুরুজ্জামান ভুলক্রমে মোরগ প্রতীকে পোষ্ঠার ছাপিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই।