বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্বল নক্ষত্র সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে তার স্থান ধরে রেখেছেন। তবে প্রমথ থেকেই নানা কারনে তিনি আলোচনায় থাকতেন বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনার মাধ্যমে তিনি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে দেশে। দুদকের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন সাকিব কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিসের সাথে জড়িয়ে তার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কি ধারনা তৈরী করলেন।
মাঠের বাইরের ঘটনার কারণে গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত আলোচনায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। জুয়া কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, শেয়ারবাজারে কারসাজির পর বাবার নামে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে! অথচ, চার বছর আগে এই সাকিবকেই শুভেচ্ছাদূত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিভিন্ন ঘটনায় বারবার বিতর্কিত হয়েছেন।
তবে গত কিছুদিন ধরে যেসব ঘটনা সামনে আসছে, তা হতবাক হওয়ার মতোই। নানা ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার পর সাকিব পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। যৌথ অংশীদারিত্বে খোলেন ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিংস। এই মোনার্ক হোল্ডিংসের নাম উঠে এসেছে শেয়ার কারসাজিতে। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই আরও একটি ঘটনা সামনে আসে।
সাকিব তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘মনার্ক হোল্ডিংস’-এর নথিতে বাবার নামের পরিবর্তে ভুয়া নাম ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজার বিপুল পরিচিতি আছে। কিন্তু মোনার্ক হোল্ডিংয়ের নথিতে সাকিবের বাবার নামের পরিবর্তে ‘কাজী আবদুল লতিফ’ লেখা রয়েছে। সাকিব এটাকে ‘ভুল’ বলে দাবি করলেও দুই নামের মধ্যে পার্থক্য অনেক। এই কাজী আবদুল লতিফ হলেন বিখ্যাত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরুর শ্বশুর।
যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ, সেই সাকিবকেই ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুভেচ্ছাদূত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই সময়কার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, ‘সাকিবের মতো যুব সমাজ যদি ক্ষতিকর কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে কার এত সাহস আছে যে দুর্নীতি করে?’ এরপর ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সাকিব জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হন। এর দিন চারেক পর তিনি দুদক কার্যালয়ে গিয়ে শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব ছেড়ে দেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, দেশসহ সারা বিশ্বে যাকে চিনে মানুষ সে এমন কান্ডের সাথে জড়াতে পারে বিষয় নিয়ে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছন। যে দুর্নীতির দূত হিসেবে কাজ করেছেন অথচ তার কর্মকান্ডে এমন চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।