সরকার উন্নয়নের নামে দেশের জনগণের অর্থ লু/টপাট করছে। যার ফলে দেশে আজ অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির করে দলের নেতাদের পকেট ভর্তি করছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছে। আবার বিনা ভোটে ক্ষমতার আসার জন্য নীল ছক আঁকাচ্ছে কিন্তু এবার আর সে সুযোগ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। জনগণ বিদ্যুৎ পাবে না কিন্তু ঋণ পরিশোধ করবে কেন এ প্রশ্ন করে যা বললেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েক মাস আগে অনেক মাতামাতি শুনলেও আসলে তা ছিল ফাঁকা বুলি। তাই এই সরকারের উন্নতি ঘরে ঘরে মোমবাতি। জনগণের হাতে এই সরকার হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন। বিদ্যুৎ এসে বলে, আমি এখনো বেঁচে আছি, মরেনি।
তিনি বলেন, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা শুনেছি। প্রয়োজন ১১ হাজার মেগাওয়াট। এখন ৫ হাজার মেগাওয়াটও বিদ্যুৎ নেই। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, কত টাকা ঋণ দেয়া হয়েছিল, কতটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ছিল আর কতটুকু পেয়েছেন, কত টাকা দিয়েছেন আর কত টাকার বিদ্যুৎ পেয়েছেন- তার হিসাব দিন। মানুষ বিদ্যুৎ পাবে না, কিন্তু ঋণ পরিশোধ করবে কেন?
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেবেন- এটা নাকি হাস্যরসাত্মকভাবে বলেছেন। আমি বলবো খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঠাট্টা করেছেন, কিন্তু ১৪ বছর ধরে জনগণকে নিয়ে যে ঠাট্টা-মশকরা করছেন তার প্রতিশোধ জনগণ নেবে।
নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কোন দল নির্বাচনে আসবে, কে আসবে না এ নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনার নেই। আপনি এ নিয়ে কথা বলার কে? আগামী নির্বাচন এ কমিশনের অধীনে করা হবে না।
গয়েশ্বর বলেন, অর্থমন্ত্রী একজন আদম বেপারী।একবার বলেন, আমরা আইএমএফের কাছ থেকে টাকা ধার নিই না, আবার পত্রিকায় দেখি আইএমএফের কাছে টাকা ধার চান। তারা সকালে একরকম কথা বলে এবং বিকেলে অন্যরকম কথা বলে। সরকারের অবস্থা তেঁতুল গাছের মতো, যে গাছ লাগিয়ে তেঁতুল বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করবে।
মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সাফু, হাবিবুন নবী খান সোহেল, আসাদুল হক রিপন, বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, সরকার উন্নয়ন নামে দেশের মানুষের সাথে তামাশা করছে বলে মন্তব্য বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এই সরকারকে আর ক্ষমতা থাকতে দেওয়া হবে না আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের নামাবে দেশের জনগন।