ক্ষমতাসীন সরকার আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসতে যার জন্য ভিন্ন কৌশল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হা/মলা ও মামলা করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বং/স করে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। অথচ এমপি-মন্ত্রীরা কথায় কথায় গনতন্ত্রের বুলি ঝাড়ে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি প্রতিষ্ঠা করে নিরপেক্ষ অধীনে নির্বাচন করা হবে। সরকার হটানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারকে সরানো ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে একটাই পথ, এই সরকা/রকে সরিয়ে দেব। এ জন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের এই কাতারে আনার চেষ্টা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সবার আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ/ত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠিত হবে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ফখরুল এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী উলামা পার্টির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারই যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে তা প্রমাণ করেছে। এখন আবার তাদের নেতারা বলছেন, নির্বাচন করুন। তারা কোন নির্বাচন করতে চায় ? সেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন ? তা এবার আর হবে না। তিনি বলেন, “আমরা অ/ন্যায় কিছু বলি না। আমি বলছি না বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিন। আমরা বলছি জ/নগণ যাকে চায় তাকে ক্ষমতায় বসাতে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে বিদ্যুৎ নেই, এটাই এই সরকারের আসল চেহারা। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নির্মাণের নামে টাকা চুরি ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে তা এক বছরের বা/জেট হয়ে যেত।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে ক/থা বলার ও সংগঠনের করার স্বাধীনতা নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজবাড়ী জেলায় সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরে ফখরুল বলেন, রাত ২টায় একজন প্রতিবাদী নারীকে তুলে নিয়ে যা/ওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সরকার আবারও ১৪ ও ১৮ মতো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে কিন্তু সে সুযোগ আর কখনো ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা থেকে নাম বাধ্য করা হবে এর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।