দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে এক শিক্ষক। নিখোঁজ শিক্ষক ও স্কুলছাত্রীর এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ কারণে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। অন্যদিকে স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় স্বামীর শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজনীন আক্তার সুমি। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার বিয়ে করেন ওই শিক্ষক।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষক রোকন (৩৫)কে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ঝলমালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিক দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে রোকন তাকে নানাভাবে নি/ ের্যাতন করে আসছিল। এ পর্যন্ত সে তার সব অত্যাচার সামনাসামনি সহ্য করেছে। তবে এবার স্বামীর শাস্তি চান নাজনীন আক্তার সুমি। কারণ সেও তার সাথে প্রতারণা করেছে। তাকে বিয়ে করার পর সে অন্য এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন থেকে তার ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর স্বামীর শাস্তির জন্য লিখিত আবেদন করেছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের খুঁজছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বিকেলে উপজেলার ঝলমালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রোকন ওই বিদ্যালয়ের ১৬ বছরের এক ছাত্রকে নিয়ে নিখোঁজ হন। ওই রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। এই ঘটনায় এক পাঠক তার মন্তব্যে লেখেন ওই শিক্ষককে যে চাকরি দিয়েছে তাদেরকেও শাশ্তি দেওয়া উচিত।