বাংলাদেশ আসণ্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশ নজর রাখছে। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে এমন বিষয় বেশ কিছু গনমাধ্যমে উঠে আসার পর, বাংলাদেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঠিক তেমন ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে
ভিণ্ন ধরনের মন্তব্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। আমরা তাকে যা যা বলার প্রয়োজন বলেছি। আমরা মিডিয়াকে সব কিছু বিস্তারিত জানানোর প্রয়োজন মনে করি না। তাই আমরা এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আমরা এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করছি। আমি আশা করি এই সফর বাংলাদেশ ও জাপানের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
এর আগে ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি শুনেছি বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতেই পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। অন্য কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে কোনো দিন শুনিনি। আশা করি, বাংলাদেশে এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।
প্রসংগত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা তেমন কোনো মন্তব্য করতে পারছে না। কারণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন দিকে যেতে পারে এমনটি মনে করছেন তারা। এদিকে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন ঘিরে তাদের নিজেদের দল গোছানোর কাজ করে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে নজরদাতা রাষ্ট্রগুলো কতটা ভূমিকা রাখবে সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে।