শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থ পাচার এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি শ্বেতপত্র গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এই প্রতিবেদন আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক দলিল। আর্থিক খাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ছিল ভীতিকর। আমাদের সামনেই এসব ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কেউ এ নিয়ে কথা বলেননি।”
রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্বেতপত্রটি তার হাতে তুলে দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের কমিটি। অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য উন্মোচনে এই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনকালে প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়েছে। এতে অর্থনীতির প্রতিটি খাত বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে কীভাবে উন্নয়নের নামে পরিসংখ্যানকে বিকৃত করা হয়েছে এবং ভেতরে ভেতরে লুটপাট চালানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শাসনামলে অর্থপাচারের ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে জনগণের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করা হলেও বাস্তবে অর্থনৈতিক খাতগুলোতে ছিল অনিয়মের মহোৎসব।”
কমিটি গঠনের সময় বলা হয়েছিল, এই শ্বেতপত্রে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ও খাতভিত্তিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ থাকবে। সেই সঙ্গে আগামীর করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ দেওয়া হবে। ২৮ আগস্ট কমিটি গঠনের পর তারা দ্রুত কাজ শুরু করে, বিভিন্ন অংশীজনের মতামতও নেয়।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।