সম্প্রতি পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি অনুষ্ঠানে বি/স্ফোরণে দ/গ্ধ হোন মীরাক্কেল খ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। পরে তাকে আশঙ্কা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় তার শরীরের ২৫ শতাংশ দ/গ্ধ হয়ে গেছে বলে জানান চিগিৎসকরা। চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। সুস্থ হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়া যে কথা জানালেন আবু হেনা রনি।
এত মানুষের কাছ থেকে এত ভালবাসা পেয়েছি যে এখন মনে হচ্ছে এই পোড়াটা দরকার ছিল। হাসপাতালের বিছানায় বসে কথাগুলো বলছিলেন বেলুন বি/স্ফোরণে দ/গ্ধ কৌতুক আবু হেনা রনি। তার কথা শোনার পর সেখানে উপস্থিত বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনসহ সবাই হাসলেন।
গতকাল বিকেল ৩টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের ১৩ তলায় কেবিনের বিছানায় বসে রনি কথা বলছিলেন।
তার গলায় পোড়ার ক্ষ/ত, বাম হাতে ব্যান্ডেজ এবং ডান হাতে পোড়ার চিহ্ন চোখে প/ড়ার মতো। এতদসত্ত্বেও বেশ হা/সি খুশি রনি দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জানান, আগে অনেক ব্যথা ছিল। এখন ব্যথা চলে গেছে। সে কারণেই তার খুব ভালো লাগছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যান রনি। সেদিন বেলুন উ/ড়ানোর কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও বেলুন ওড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেলুন উড়েনি। বেলুনটি ওড়ানোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি তখন বেলুনটি ওড়ানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি কাছ থে/কে দেখতে যা/ন রনি। আর সেই সময়ই ঘটে বি/স্ফোরণ। এতে রনিসহ পাঁচজন দ/গ্ধ হন। এদের মধ্যে গুরুতর দ/গ্ধ রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আনা হয়। দুজনেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ডক্টর সামন্তলাল সেন জানান, রনির ডান হাতের উন্নতি হয়েছে। বাম হাতের ক্ষ/ত সারতে কিছুটা সময় লাগবে। এখানে থাকা পুলিশ সদস্যও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আগামী সপ্তাহে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। ছাড়পত্র দেবার সময় গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে রনি বলেন, “জীবনে এই প্রথম এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। অনেকটা সুস্থ হওয়ার পর অনুভব করছি এই পোড়াটা জরুরি ছিল। ভেবেছিলাম জীবন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনার প/র থেকে এত ভা/লোবাসা পেয়েছি যে তাতে করে ম/নে হচ্ছে, না পুড়লে সে/টা বুঝতে পার/তাম না। ’
এক প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, ‘মীরাক্কেলের উপস্থাপক মীর দা, প্রযোজক শুভঙ্কর দা, শ্রীলেখা মিত্র, রজতাভ দত্ত প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিতেন। আমি এই হাসপাতাল থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। আমার পাসপোর্ট নিয়ে ছিলো সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য। আমি প/ক্ষপাতি ছিল না। আমি এখানে খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে এসে পোড়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখেছি। দ্রু/ত চিকিৎসা প্রয়োজন। এখানে সেই চি/কিৎসা দেওয়া হয়। প্রতিবেশী দেশে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে যায়। আমি মনে করি এদেশে ভিআইপিরা চিকিৎসা নিলে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আমি এখানে এসে যা দেখেছি তাতে আমার মনে হয়েছে বার্ন হাসপাতালটি আরও আগে স্থাপিত হওয়া উচিত ছিল। ‘
প্রসঙ্গত, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে যেটি অনেক আগের হওয়া দরকার ছিলো। আলোচিত এই কৌতুক অভিনেতা সন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেন তার চিকিৎসা নিয়ে।