যেকোনো নির্বাচনই হোক না কেনো প্রত্যেকটি নির্বাচন খুব গুরুত্ব বহন করে। নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয় জনগনের প্রতিনিধি। জনগন ভোট দিয়ে তদের পছন্দের ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করে থাকে। একমাত্র জনগনই পারে তাদের যোগ্য নেতাকে বাছাই করতে। সম্প্রতি আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাদেশ খানম বললেন খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হতে চাইনা।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাদেশ খানম বলেছেন, বাজে নির্বাচন করে ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলার কোনো ইচ্ছা নেই। আমরা চাই না মানুষ আমাদের খারাপ ভাবুক। রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে জাসদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা খানম বলেন, এত টাকার প্রশ্ন কেন? কেন এত টাকা খরচ? কিন্তু টাকা লাগবে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা কিন্তু তার মধ্যে থাকতে পারছি না। এটা আপনারা একটু চিন্তা করুন, কেন থাকতে পারছি না?
আমরা একটা ইসি, এই পাঁচজন- একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বসে সব সমস্যার সমাধান করে রাতারাতি একটা আইন করব? কিন্তু এটা অসম্ভব, কঠিন। তবে আমি মনে করি, আপনাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এটা কঠিন হবে না।’ “দলগুলোকে (রাজনৈতিক) একটু শুধরে নিতে হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে তাদের ভূমিকা নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সবাই চাইলে এটা করতে পারবেন। সবাই একসাথে বসে চিন্তা করে। এখন পর্যন্ত যত দল এসেছে। নির্বাচনী খরচের কথা বলছি।
তুমি একা বসো না। খরচ কমান। কত পোস্টার, কত সভা করতে হবে, আমরা একটু কমিশন বলি। সবাই একটি আপস প্রস্তাব. এখন আমরা যদি বলি, আপনি ১০টি মিটিং করেন। দল যদি মনে করে 10 হবে না, আমরা কি 2 বলতে পারি? তাহলে কি মেনে নেবেন? এটি একটি কঠিন প্রশ্ন।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক পদ্ধতিতে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা এখানে বসেছি। কিন্তু আমরা খারাপ নির্বাচন করে ইতিহাসের ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হতে চাই না। আমাদের এই অনুরোধ পূরণ করতে সাহায্য করুন। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল আজ ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনার সেই ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকে এবং সঠিকভাবে নির্বাচন বিষয়ক কাজ পরিচালনা করেন। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।