বাংলাদেশের এমপি হওয়ার মনোনয়ন ভারতে বিক্রি হয় এমন ধরনের অভিযোগ তুলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন আমি ভারতের প্রার্থী। নির্বাচনে কী হবে, ভোটের হার সবই ঠিক হয়ে গেছে। ৭ জানুয়ারির এই নির্বাচনী নাটক শুধুমাত্র কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রার্থী, ডিসি, এসপিসহ বিভিন্ন জনকে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া। এভাবে কিছু ডিসি, এসপি, নেতা শত কোটি, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে শান্তিনগর মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগের আগে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি সরকার একতরফা নির্বাচন করলে দেশে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আসবে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ব্যবসা।
কাজেই দেশের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। যে কারণে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নির্বাচনবিরোধী আন্দোলন করছি। নুরুল হক নূর অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দিচ্ছে না। মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে।
রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কতদিন চলবে, পুলিশ কী সিদ্ধান্ত নেবে? মনে হচ্ছে দেশে পুলিশি শাসন চলছে। তাই শেখ হাসিনা ডামি প্রধানমন্ত্রী আর পুলিশপ্রধানকে ফুল মন্ত্রী হোক।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। লোকেরা আমাদের বলছে যে তারা এমন খেলায় অংশ নেবে না যেখানে রেফারি নেই, প্রতিদ্বন্দ্বী দল নেই। তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেব কি খেলা খেলবেন? ডামি খেলা, স্বতন্ত্র খেলা? ফাঁকা মাঠে গোল দেবেন? হায়রে নির্বাচন!
তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, আওয়ামীলীগ জিতলে ডামি প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? ভারত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে ধ্বংস করছে।
ভারত চায় না বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকুক। তাই ভবিষ্যতে যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যায় এবং ভারত বলতে পারে যে আপনারা দেশ চালাতে পারবেন না, আসুন আমরা আপনাদেরকে সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করি। তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র একতরফা নির্বাচনকে বৈধতা দিচ্ছে।
পাবলিক রাইটস কাউন্সিলের উচ্চ পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চ পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, সহ-সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, শ্রমিক নেতা মাহবুবুল হক শিপন প্রমুখ।