Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এই নামটি উল্লেখ করে অহেতুক কোনো বিতর্কে আমি যেতে চাই না: ওবায়দুল কাদের

এই নামটি উল্লেখ করে অহেতুক কোনো বিতর্কে আমি যেতে চাই না: ওবায়দুল কাদের

আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন। তবে এবার আলোচনায় শুধু সাধারন মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, তিনি এখন দেশের প্রধান দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মন্তব্য এবং আলোচনার পাত্র হয়েছেন। হিরো আলম নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই নাম নিয়ে আমি অহেতুক বিতর্কে যেতে চাই না। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়েছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইতে তিনি বলেন, কোন এলাকায় কত ভোট পড়েছে তা আমি বলেছি। আমি এটাও বলেছি, উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম। তারপরও গাইবান্ধায় ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ, কম না। ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট পড়েছে ৪৫ শতাংশ। সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ছিলেন। বগুড়ায় যার কথা বলছেন, এই নাম নিয়ে অহেতুক আর বিতর্কে আমি যেতে চাই না। বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেই উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি।’

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় গণঅভ্যুত্থান, লাল কার্ড। তারা সেখান থেকে কোথায় নামলো? নীরব পদযাত্রা। যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখানেই আন্দোলন শেষ! শুরু করেছে গরম দিয়ে, এখন এসে এত নরম দিয়ে। গণবি”/স্ফোরণের ডাক দিয়ে, অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে পদযাত্রা, পথ হারিয়ে পদযাত্রা।’

তিনি বলেন, ‘তারা যেটা বলে, সেটা নয়, দেশের মানুষ যেটা মনে করে সেটাই বড় কথা। তারা (জনগণ) তাদের (বিএনপি) আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে না। তাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছেন।কাজেই এই আন্দোলনের কোনো ফল নেই। এটা ব্যর্থ হবে, তারা হেরে গেছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা নিষেধাজ্ঞা আনতে লবিং করেছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ডোনাল্ড লু এসে কথা বলবেন, তাদের আশার বার্তা দেবেন, সেটাও হয়নি। তাহলে এখন আর কোন আশায় বসে আছে?’

‘অমানুষ’ ছবির একটি গানের লাইন উদ্ধৃত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেদনার বালুচরে কোন আশায় বাঁধিয়াছি ঘর—ফখরুল সাহেবের এখন এই অবস্থা।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হোক। আমরা খালি মাঠে গোল করতে চাই না। এটা হওয়া উচিত নয়, এটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’

প্রসংগত, হিরো আলম রাজনীতিতে পদার্পন করার পর প্রথমে একজন হাসির পাত্র হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর বিপুল ভোট পেয়েছেন। এরপর থেকে সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়ে হাসির ইমোজি অনেকাংশে কমে গেছে। হিরো আলম এখন মানুষের মুখে মুখে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *