পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন মোহাম্মাদ রিজওয়ান। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তার উপস্থিতি ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলতে দেখা যায়। তবে সেমিফাইনালের আগে হঠাৎ করেই জ্বর ও বুকে সংক্রমণ দেখা দেয় তার। আর এই কারনে ২ দিন দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কি, জীবনের থেকে নিজের দেশকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন তিনি। ঠিকই মাঠে নামেন তিনি, খেলেন ৫২ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
এবার জানা গেল, মাত্র দুইদিনেই পাকিস্তানের উইকেটকিপারকে সুস্থ করে তুলেছিলেন সাহির সাইনালবদিন নামে এক ভারতীয় চিকিৎসক।
রিজওয়ানের দ্রুত সেরে ওঠার ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসক সাহিরও। তার মতে দেশের হয়ে খেলার অদম্য ইচ্ছা ও মানসিকতাই রিজওয়ানকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে।
গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক সাহির বলেন, ‘রিজওয়ান হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুধু একটা কথাই বলতেন – আমি খেলব। আমাকে দলের সঙ্গে থাকতে হবে। দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামার অদম্য আগ্রহ ছিল রিজওয়ানের। তিনি দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। যে সময়ের মধ্যে রিজওয়ান সুস্থ হয়ে ওঠেন তা আমাদের অবাক করেছে। তার সংক্রমণ মারাত্মক ছিল। এই ধরনের সংক্রমণ থেকে কোনো রোগীর সুস্থ হতে অন্তত পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে।’
আরব আমিরাতে বিশ্বকাপে খেলতে এসে রিজওয়ানের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়ে সাহির বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই কাশি ও বুকে ব্যথা হচ্ছিল রিজওয়ানের। ওই অবস্থাতেই খেলছিলেন তিনি। সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বুকের ব্যথা খুব বেশি বেড়ে গেলে আমরা তাকে সঙ্গেসঙ্গে আইসিইউতে ভর্তি করি।’
আইসিইউতে ৩৫ ঘণ্টা রেখে রিজওয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাহির। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হওয়ায় অন্যদের থেকে শারীরিক ক্ষমতা বেশি রিজওয়ানের। সেই ক্ষমতা ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস তাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলেছে।’
তবে সুস্থ হয়ে সেই চিকিৎসক সাহিরের কথা ভুলে যাননি পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে তার সঙ্গে যগাযোগ করে নিজের জার্সি উপহার দেন রিজওয়ান। চিকিৎসকের প্রতি রিজওয়ানের এমন আচরন রীতিমতো মুগ্ধ করেছে ক্রিকের প্রেমি হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগিদের। এদিকে রিজওয়ানের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে আনন্দিত বোধ করছেন ঐ চিকিৎসক।