ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেহস সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন কোনো রাষ্ট্রের প্রভাব আওয়ামী লীগ সহ্য করেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা পারস্পরিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সহযোগিতা-সংহতি, মানবিক মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শের মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করি এবং গতি ও প্রকৃতি নির্ধারণ করি। বন্ধুত্ব . বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রভাব ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কখনো বরদাশত করেনি, বরদাশত করবেও না। আওয়ামী লীগ সব সময়ই সব ধরনের সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধিতা করেছে এবং এর জন্য সংগঠনটিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস এদেশের মানুষ। জনগণের আশা-আকাঙ্খা ও জনস্বার্থকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক অপ্রত্যাশিত সংকট তৈরি হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে জাতীয় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং ২১শে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান ও তার দল বিএনপি এই ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের স্বাভাবিক মিথ্যার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং বহুমুখী ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্র ও অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও হৃদয়ে ধারণ করে ১৫ আগস্টের নি/’র্মম ও নৃ/’শংস মানসিকতা এবং ২১ আগস্টের ব/’র্বরতা ও পৈ/’শাচিকতা।
প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা রকম আলোচনা ও সমালোচনা। অধিকন্তু, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা ধরার কথাও শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে। তবে এই ধরণের তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই বলেও জানিয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতারা।