ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ বর্তমানে দলের সকল প্রকার অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে। আসণ্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতারা সকল স্তরের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের মধ্যে ঐক্যতার আহবান জানিয়েছেন। তিনি জানালেন দলের সকলকে কাজ করতে হবে কোন প্রক্রিয়ায়।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। আমি কারো অন্ধ সমর্থক নই। যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পক্ষেই কথা বলি। আমি আমার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও একরামুল করিম চৌধুরী এমপি এই দুজনকে নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে ক্ষমা করে দিয়েছি।
আমি নোয়াখালীতে কোনো বিবাদ চাই না। সংঘা’তমুক্ত আওয়ামী লীগ চাই। সোমবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই ডিসেম্বরে খেলা হবে, খেলা হবে, হবে খেলা। আগামী নির্বাচনে আমরা খেলব, আন্দোলনে খেলব, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলব। টাকা চুরির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। ‘
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘খেলা হবে স্লোগান মির্জা ফখরুলের পছন্দ নয়। আরো কারো কারো পছন্দ নয়। তবে মানুষের ভালো লাগার এই স্লোগান আমি দিয়েই যাব।। খেলা হবে ‘
ফখরুলের কথা উল্লেখ করে কাদের আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে বিএনপি। ফখরুল সাহেব, আমি বলতে চাই মহানগর, জেলা-উপজেলা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় আমাদের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। বিএনপি আগু’ন-লাঠি নিয়ে আসবে, এ জন্য দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করতে চায় তারা। বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে খাঁচা বলছেন ফখরুল। ‘
দুপুর ১২টার দিকে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন অসুস্থ থাকায় ওবায়দুল কাদের তার পক্ষে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
সম্মেলনে সভাপতি পদে এএইচএম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিমের নাম ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসংগত, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি পল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারবে। তবে বিএনপি কোনোভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে সম্মত হয়নি। সম্প্রতি তারা এ দুটি স্থান ছাড়া অন্য কোনো ভেন্যুতে সমাবেশ করবে সে বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।