দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয় হয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছে। দেশের জনগণকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিপরীতে নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদী একটি পরিবেশ আনতে চেষ্টা করছে তারা। এবার দেশের জনগণকে তাদের অধিকার আদায় করার লক্ষ্যে আন্দোলনে নেমে পড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল হক নুরু। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণকে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সাথে সাথে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আ’ন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই আন্দোলনকে দেশে এবং দেশের বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। এদেশের জনসাধারণ যারা তাদের অধিকার আদায় করার সময় এসে গেছে এবং সেই লক্ষ্যে তাদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত বাঁশি শুনলেই রাস্তায় নেমে পড়তে হবে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুর বলেন, সরকার মাফিয়া হয়ে গেছে। মানুষের ওপর নানা অন্যায়, অবিচার, গু’ম, খু’/ন, অত্যা’চার করছে। এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, ছুটি কাটাতে এসে রাস্তায় দাঁড়াতে হয় এমন একটা দেশের নাগরিক আমাদের প্রবাসীরা। একটি টি’কা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না, বিমানের টিকিট পর্যন্ত পাচ্ছেন না প্রবাসীরা। এজন্য তারা এখানে দাঁড়িয়েছেন। অথচ এই দায়িত্ব ছিল সরকারের। কেন তাদের এখানে দাঁড়াতে হবে?
দুর্নীতি-লু’টপাট করে বিপ’দে পড়ে সরকার এখন জনগণের পকেট কেটে টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন নুর। বলেন, আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা দেশের দু:সময়ে সময় কীভাবে ভোগান্তির শি’কার হয়েছেন আমরা সবাই জানি। গোসল, খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। টি’কার অভাবে অনেকের টিকিট বাতিল হয়ে গেছে। একটি টিকিটের প্রক্রিয়া সরকার ঠিকমতো করতে পারেনি। প্রবাসীরা টিকিট পাচ্ছেন না, এজন্য সারা দেশ থেকে তারা এখানে এসেছেন।
যারা প্রবাসে থেকে দেশের জন্য রেমিটেন্স আনার কাজ করে যাচ্ছে, তাদের অধিকার বিষয় তুলে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বিদেশে যদি প্রবাসীদের কেউ মা’রা যায় তাহলে তার দেহ দেশে আনতে হবে। এ ধরনের দাবি কেন আমাদের দেশের সরকারকে জানাতে হবে? সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচিৎ জরুরিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ করা, তাই নয় কি?। প্রবাসীদের সহায়তা দেয়ার দাবি তুলে কেন বারবার প্রেস ক্লাবে গিয়ে সকলকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে? এধরনের দায়িত্ব সরকারকেই পালন করতে হবে, অথচ প্রবাস থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীরা তাদের দাবি জানানোর জন্য সরকারের দ্বারস্থ হয়। এটা সরকারের জন্য একটা বড় লজ্জার বিষয় হওয়া উচিত।