সম্প্রতি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকারী লঙ্ঘনের অভিযোগ করে বিভিন্ন মানবাধিরকার সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে। বিচারবর্হিভূত হ/ত্যাকান্ড, গু/ম, খু/নসহ বেশ কিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। পরে এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েটি দেশের মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি পাঠায়। এর ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেঞ্জির আহমদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত জন কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনার্কী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু তুলে ধরা হল নিচে।
মুটা বেঞ্জির আমেরিকা যাবে। যদিও এইটারে যাওয়া বলে না, মানে আমেরিকার মাটিতে সে পা রাখবে। দুই দিনের জাতিসংঘের মিটিং ভিসা এই দুইদিনেরই আর শর্ত দেয়া আছে নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যাইতে পারবে না। জাতিসংঘের মিটিং এ অংশ নেয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে জাতিসংঘের সাথে আমেরিকার চুক্তি অনুসারে আইনত আমেরিকা ভিসা দিতে বাধ্য। তারপরেও কিছু বিরল ক্ষেত্রে আমেরিকা স্যাংশন পাওয়া মানুষ যেন আমেরিকার মাটিতে পা দিতে না পারে সেইজন্য জাতিসংঘে প্রভাব খাটায়ে মিটিং এর ভেন্যু আমেরিকার বাইরে নিয়া যাওয়ার উদাহরণ আছে। তবে বেঞ্জির সেই লেভেলের মাল না যে আমেরিকা তার জন্য জাতিসংঘে প্রভাব খাটানোর মতো টাইম আর এনার্জি দিবে। তাই শর্তযুক্ত ভিসা দিয়েই ক্ষান্ত হইছে।
এইরকম শর্তযুক্ত ভিসা পাবে এটা হাসিনার প্রশাসন জানে, তাও এই কাজটা কেন হাসিনা করলো? করলো তার লাঠিয়াল বাহিনীর মরাল বাড়ানোর জন্য। এখন হাসিনা দেখাইবে যে বেঞ্জির নাকি আমেরিকা যাইতে পারবে না স্যাংশন পাইলে? দেখো এইযে পাইছে?
যেইদিন বেঞ্জির ভিসা পাইছে সেইদিনই পাচজন মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষককে গুম করছে র্যাব।
এই ঘটনায় হাসিনার লাভ হইলো? না হয় নাই। স্যাংশন উঠার যা চান্স আছিলো সেইটাও সে এই বেকুবি স্টেপ নিয়া বন্ধ করে দিলো। এতে এইটাই প্রমাণিত হইলো সে র্যাবের কোন সংষ্কার হাসিনা করবে না। আর হাসিনার বাহিনীগুলা এতোই বেকুব যে দুইদিনের জন্য আমেরিকার মাটিতে পা রাখার সংবাদেই পুর্ণ উদ্যমে আবার গুম শুরু করছে। আরেকটা ইন্টারেস্টিং বিষয় হইতেছে একটা স্যাংশনেই হাসিনার বাহিনীর মরাল এতো নিচে নামছিলো যে তারে এই মরাল ফিরায়ে আনার জন্য মরিয়া স্টেপ নিতে হইছে।
প্রসঙ্গত, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা উঠানোর বিষয়ে যে শর্ত দিয়া হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কোনো মাথা ব্যাথাই নেই সরকারের বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। সরকার বিষয়ে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্রে আইজিপির যাওয়ার মধ্য দিয়ে।