বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছুটা ভিন্ন আবহ বিরাজ করছে, কারন হিসেবে যে বিষয় সামনে আসছে তা হলো আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এই নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়। তাছাড়া নিজেদের মতো করে যাতে নির্বাচন না দিতে পারে সেজন্য আন্দোলনে যাচ্ছে দলগুলো। এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালানোর বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টাও চলছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক উর্ধতন ব্যক্তি বাংলাদেশে আসছে, যেটা সরকারের জন্য ইতিবাচক এমন খবর হওয়ার পর সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট করেছেন। তাঁর সৃষ্টি হওয়া তুলে ধরা হলো-
একটা সংবাদ ঘুরে বেড়াচ্ছে যে ঢাকায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু আসছে। ভোরের কাগজ, ইনকিলাব, আরটিভি ছাপছে এই খবর। এই ডোনাল্ড লু নাকি ইমরান খানকে উষ্টা দিছিলো।
এটা খুবই অস্বাভাবিক খবর। কোন হিসাবেই ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশে আসার কোন কারণ নাই। সংবাদটা মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯৯%। আমার লেখাটা মিলিয়ে নিয়েন। এই গুজব ছড়াইছে সরকার প্রধান, হাসিনা। আর বলে আমরা গু’জব ছড়াই।
প্রসঙ্গত, বারবার ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগকে ভোট কারচুপির মাধ্যমে বার বার ক্ষমতায় আসছে দিতে চায় না বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো।তারা আন্তর্জাতিক মহল থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এমন বিষয়টি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, যাতে করে সাধারন মানুষের ভেতর আ.লীগের একটা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র আসার বিষয়টি সরকারের জন্য ইতিবাচক কিছু, তাই এ বিষয়টিও ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।