বাংলা রূপালী জগতের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত প্রায় চার্ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। এর মাঝে কয়েকটি বছর অভিনয়ে তেমন একটা দেখা না গেলেও, আবারো অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে কেমন আছেন, কি করছেন এব্যাপারে সম্প্রতি কথা হয় তার সঙ্গে-
দীর্ঘ ক্যারিয়ার পেছনে তাকালে কী মনে হয়?
আমি একজন অভিনেতা। সেই জায়গাটায় আমি সফল। যখন নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছি তখনো চেষ্টা করেছি সেরাটা দেওয়ার। আবার ভিলেন হিসেবেও সর্বোচ্চটা দিয়েছি। তাই দর্শক আমাকে পছন্দও করেছে। আর দর্শকের ভালোবাসাই আমার চলার সঙ্গী। প্রাপ্তি অনেক আছে তার মধ্যে দর্শকের ভালোবাসাটাই বেশি পেয়েছি।
ইদানীং একটি চল শুরু হয়েছে, ঢালিউডের অনেক অভিনয়শিল্পীদের দেখা যায় সহকর্মীদের একে অপরকে কটাক্ষ করে কথা বলছেন এই চর্চা টাকে কীভাবে দেখেন?
আমি এটা খুব ভালো চোখে দেখছি না। কারণ দর্শকের কাছে, ছবির বাইরের মানুষের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আমার একটা কথা আছে, যারা একে অপরকে এভাবে কটাক্ষ করছে, তারা যদি এসব করা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হবে। আমাদের ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে না।
সংসার কেমন চলছে? এর আগে বলেছিলেন, পরিচিতজনেরা আপনাদের দম্পতিকে শাহরুখ-গৌরীর মতো ভাবেন?
হা হা আলহামদুলিল্লাহ ভালো চলছে। শাহরুখ খান আমাদের বিয়ের অনেক আগেই বিয়ে করেছিলেন। আমরা দুজনেই তাদের সংগ্রামী জীবন দেখেছি। সেটা ছিল তরুণ-তরুণীদের কাছে অনেক শেখার মতো। আমরা দুজনেই তাদের ভক্ত ছিলাম। বিয়ের পর আমরা তাদের অনুসরণ করেছি। আগে খবরের কাগজে দেখতাম, এখন ইন্টারনেটে তাদের দেখি। তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই কারণে আমাদের পরিচিতরা আমাদেরকে শাহরুখ-গৌরী মনে করেন।
আপনি বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত?
বর্তমানে তিনটি ছবির কাজ চলছে-‘বিট্রে’, ‘জলরঙ’, ‘ইয়েস ম্যাডাম’। আরও কয়েকটি কাজের কথা চলছে। চূড়ান্ত হলে জানাব।
১৯৯০ সালে টকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন অমিত হাসান। এরপর ‘জ্যোতি’ সিনেমার মাধ্যমে সবার নজরে আসেন তিনি।