বাংলাদেশ দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বুকে। বিশেষ করে প্রতিনিয়তই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। দেশের বর্তমান তৈরী সেতুগুলো নিয়ে বেশ আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেতু মন্ত্রীকে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রশংসা করে বলেছেন, আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি আরো বলেন, কারণ তার মতো সক্রিয় ও গতিশীল মন্ত্রী খুব কমই আছেন। একদিকে তিনি দলের সেক্রেটারি, অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তাকে দলীয় সম্পাদক করার পর আমার কাজের চাপ অনেক কমে গেছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণাধীন নলকূপের কাজ শেষ হওয়া উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রশংসা করেন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী।
টানেল নির্মাণের জন্য চীন সরকারের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও আমি আমাদের বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা খুব দ্রুত কাজটি করতে পেরেছি কারণ তার মতো একজন ডাইনামিক অফিসার আমাদের কাছে ছিল।সেই বিভাগে যারা কর্মরত ছিলেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।সে সময় যারা কাজ করেছেন।তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ তার মতো সক্রিয় ও গতিশীল মন্ত্রী খুব কমই আছেন। দলের সেক্রেটারি হিসেবেও তিনি দল পরিচালনা করছেন। বরং বলতে পারি তাকে দলীয় সম্পাদক করার পর আমার কাজের চাপ অনেক কমে গেছে। কারণ তিনি অনেক দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু একই সাথে আমাদের যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে সারা বাংলাদেশে। আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ তার বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য, প্রতিটি সেতুতে অগ্রণী ভূমিকা, উচ্চমানের রাস্তা নির্মাণ, পাশাপাশি টানেল নির্মাণের জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে কাজ করার ইচ্ছা থাকতে পারে কিন্তু কাজ করার জন্য লোক দরকার। আমি সৌভাগ্যবান যে আমি যাদের সাথে কাজ করি তাদের দেখেছি, সবার আন্তরিকতা আছে। দেশপ্রেম, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ, জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের কারণেই আমরা বাংলাদেশের এত দ্রুত উন্নতি করতে পেরেছি।
মাত্র কয়েকদিন আগে একযোগে ১০০ টি সেতু উদ্বোধন করা হয়। এটি আমাদের সড়ক ও সেতু বিভাগের জন্যও একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এজন্য সরকার প্রধান মন্ত্রীসহ সড়ক ও সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম ত্যাগী একজন নেতা। দলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হলেও রয়েছেন দলের সাথে। আর এই কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দিয়েছেন তার মর্যাদার পদও। তিনি বর্তমানে আওয়ামীলীগের দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।