ঢাকাই চলচ্চিত্রের বেশ সাড়া জাগানো একজন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে ভক্তদের মাঝে ‘বাঁধন’ নামেই বেশ পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এদিকে মাস দুই আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। জানা গেছে, সিনেমাটি আগামী মাসে মুক্তি পেতে চলেছে। আর এরই জের ধরে সম্প্রতি কথা হলো গুণী এই অভিনেত্রীর সঙ্গে।
আপনার অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি নাকি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে?
** হ্যাঁ। এরই মধ্যে সিনেমাটির সেন্সর সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু দেশের দর্শক সিনেমাটি দেখেননি, তাই এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। আমিও এর মুক্তির অপেক্ষায় আছি। এই একটি সিনেমা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ দেশের দর্শকের প্রতিক্রিয়া আমার কাছে সবচেয়ে আকাক্সিক্ষত বিষয়।
সিনেমাটি মুক্তির আগে কোনো প্রচারণা কিংবা প্রিমিয়ার শো হবে?
** এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি প্রেস কনফারেন্স হবে। তবে পুরো পরিকল্পনাটি আমি এখনো জানি না। যে ধরনের আয়োজনই হোক না কেন, তাতে আমি উপস্থিত থাকব। তবে সিনেমাটির প্রযোজক-পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন এর কর্মকাণ্ড নিয়ে।
এখন কি অন্য কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না?
** কান উৎসবে যাওয়ার অনেক আগে থেকেই কিন্তু সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। তবে এখন প্রস্তাবের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এখন গড়পড়তা গল্পের সিনেমায় অভিনয় করতে চাই না। গল্প, চরিত্র এবং নির্মাণ পরিকল্পনা পছন্দ না হওয়ায় অনেক প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে শিগ্গির হয়তো নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয়ের খবর দিতে পারব।
দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
** আমি খুবই সৌভাগ্যবতী একজন অভিনয়শিল্পী। কারণ যে কাজই করি না কেন, তা দর্শক পছন্দ করেন। এদিক থেকে আমি তৃপ্ত। ভালো প্রতিষ্ঠান এবং পণ্যের প্রচারণায় কাজ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। শিগ্গির আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করব।
করোনাকাল শুরু হওয়ার আগে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। সেগুলো কি এখনো চলমান আছে?
** সেই কাজগুলো এখনো করছি। কিন্তু সংখ্যায় কম। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বৈষম্য, অসঙ্গতি এবং নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি অনেক আগে থেকেই। এ কাজগুলো করে প্রশান্তি পাই।
লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার রানার আপের মধ্য দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন বাঁধন। এরপর বেশকিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। বর্তমানে দুই পর্দাতেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে ২০১০ সালে মাশরুর সিদ্দিকী সনেটের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তবে দাম্পত্য জীবনের মাত্র ৫ বছরের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।