রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি বলেছেন, এমপি হলে ভাতার কার্ড পেতে টাকা লাগবে না। যদি মেম্বার, চেয়ারম্যানরা বলে ভাতা কার্ড পেতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লাগবে।
আমাকে খালি ফোন দেবেন। আমি নিজে এসে কার্ড দেব। আমি নিজেই এসে কার্ডটা দিয়ে দেব। কারণ এই অবিচার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এদেরকে সাইজ করতে আমার একটু সময় লাগবে। কারণ এরা অনেক পটু।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার রিসিকুল ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি এসব কথা বলেন। এ আসনে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাহি।
মাটির রাস্তায় গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে মাহিয়া মাহি বলেন, সরকারিভাবে রাস্তা করা অনেক খরচ, সম্ভব হচ্ছে না- এই রকম যদি বিষয় থাকতো, তাহলে জমিদার সাহেবের (সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী) তো অনেক টাকা। উনি চাইলে নিজেও করে দিতে পারেন। আর যায় হোক কয়েকটা ইট বিছিয়ে দিতে পারতেন। সেটাও তিনি দেন নাই।
তিনি বলেন, ১৫ বছরেও সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। রাস্তার জন্য কত কোটি টাকা আসে। কিন্তু রাস্তা করে দেন না। কী করে করবেন সে তো জমিদার। জমিদার সাহেব রাজশাহীতে থাকেন। সে তো এগুলো দেখতে পায় না।
মাহিয়া মাহি বলেন, এখানে বয়স্ক, মা-বাবা, প্রতিবন্ধীরা আছেন। তারা কি সবাই ভাতা কার্ড পেয়েছেন, এই ভাতা কার্ড কি ফ্রি পেয়েছেন। টাকা দিয়ে ভাতা কার্ড নেয়। ভাতা কার্ড দেয় তো সরকার। টাকা নেওয়ার এরা কারা। এই যে ৭ হাজার, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কার্ড দেয়, এদের এতো বড় সাহস কোথা থেকে আসে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
রাজশাহী-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান। তিনি পদত্যাগ করে ঈগল প্রতীকের গোলাম রব্বানীকে সমর্থন করেন। মাহিয়া মাহি ছাড়াও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।