যেভাবে দিনের পর দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে করে আগামীতে দেশের সাধারণ মানুষকে না খেয়ে মরতে হতে পারে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। আর এবার জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম নিয়ে রীতিমতো দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিজেই।
তিনি বলেছেন, জিনিসপত্রের দামে আমরা খুব কষ্টে আছি। সব কিছুর দাম বাড়ছে। এ নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। আমাদের লক্ষ্য একটাই, মানুষ যাতে কষ্ট না পায়।
তিনি আরও বলেন, যে ডিমের দাম ছিল ৯০ টাকা, তা হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমি এটার অংক কোনোভাবে মেলাতে পারি না। আমাদের ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২৮ টাকা বেড়েছে। ডিম আনতে এক লিটার ডিজেল লাগে না। দাম বাড়ানো উচিত ছিল ১ টাকায়।। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে কারসাজি। এত বাড়ার কোনো কারণ নেই। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সরকারের পেছনে কিছু লোক লেগেছে।।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশ একটি স্বাধীন দেশ। এখানে সবার বাক স্বাধীনতা আছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কেউ কেউ বলেন, আমরা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করি। এটা মোটেও সঠিক নয়। যতদিন পাবলিক লাইফে আছি অবশ্যই মিডিয়া আমাকে নিয়ে গল্প বানাবে। তবে বেশি বেশি ডাহা মিথ্যা বললে খারাপ লাগে। তাই মিডিয়াকে অনুরোধ করছি আরেকটু সহনশীল হতে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে আমরা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাব, সেই বিবেচনায় আমি বললাম- বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি প্রতি বছর ১ থেকে ২ শতাংশ। এবার ৯ টি ভাগ রয়েছে। ইল্যান্ডেও শতকরা ১ থেকে ২ ভাগ হয় কিন্তু গতকাল মুদ্রাস্ফীতি ছিলো ১০ ভাগ। পাকিস্তানের ৩৭ শতাংশ। এবং আমাদের ৭ ভাগ। তাই সেই দিক থেকে আমরা অনেক ভালো।।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইসরায়েলে যখন যুদ্ধ হয় তখন তেলের দাম বেড়ে যায় এবং বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এখন ৫০ বছর পরে আমি বিস্মিত যে তেলের দাম এখনও বেশি। যুদ্ধ চলছে এবং খাবারের দামও বাড়ছে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এই দেশ আমাদের। দেশে যদি অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় তাহলে যারা অপপ্রচার করে তারাও ভালো থাকতে পারবে না।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দিন দিন বাড়তে থাকায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের নানান শ্রেণির মানুষকে। আগে ১০০ টাকায় সংসার চললেও এখন ৫০০ টাকায়ও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।