বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি, বিএনপিতে একটা না একটা রোগ লেগে রয়েছে, সব কথার জবাবে না বললেই যেন নয়। সংলাপে যাবো না, নির্বাচনে যাবো না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবো না। এখন আমি বড় আশ’ঙ্কার মধ্যে রয়েছে যে কখন তারা এইভাবে বলতে বলতে কবে বা কখন একদম নাই হয়ে যায়।
আজ রবিবার অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজত জয়ন্তী ও ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডাঃ হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের দল বিএনপি ও জামায়াত যদি বাংলাদেশে নেতিবাচক রাজনীতি যদি না করত এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সঙ্গে দেশের বিরুদ্ধে ষ’ড়যন্ত্র না করতো, তাহলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যেতে পারতো। আমি জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অনুরোধ করতে চাই, শিক্ষিত হয়ে অশিক্ষিত লোকের মতো কথা না বলুন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগে তিনবার দেশ পরিচালনা করেছেন, এখন চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছেন, এ সময়েই দেশের অগ্রগতি-উন্নতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হ’/ত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিলো ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেই জিডিপি গ্রোথ রেট এখনো আমরা অতিক্রম করতে পারিনি।
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে আমি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান মানুষ বলে জানতাম, কিন্তু দলকানা হতে গিয়ে তিনি এরকম বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে তা বিশ্বের কাছে একটি বড় ধরনের উদাহরণ। সব সূচকেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান সব ক্ষেত্রেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৫০ শতাংশেরও বেশি। সেই পাকিস্তান আজ মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকসহ সকল ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকেও আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতকে টপকে গেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, পূর্বে বাংলাদেশে ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতো, এখন সেটা ২০ শতাংশেরও অনেক নিচে নেমে এসেছে যেটা নি:সন্দেহে একটি বড় অর্জন এই সরকারের জন্য। এই যে তথ্য দিচ্ছি এটা আমার কোনো বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষনা থেকে প্রাপ্ত বক্তব্য। তাদের জরিপে এসব উঠে এসেছে।