এইবার ফয়সাল নিজেই জয়ার সাথে বিচ্ছেদের কারণ আনলেন প্রকাশ্যে

জয়া আহসান হলেন বাংলাদেশের একজন খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি তার অসাধারণ প্রতিভার দ্বারা অভিনয় করে কেড়ে নিয়েছেন কোটি ভক্তদের হৃদয়। শুধুমাত্র দেশেই নয় তার দক্ষতার পরিসীমা ছড়িয়ে পরেছে দেশের বাহিরেও। এই গুনী নায়িকা বর্তমানে দেশের বাহিরে আভিনয় করে খুব প্রশংসা অর্জন করছেন। সম্প্রতি জয়ার ১৩ বছরের সংসার ভাঙ্গার কারণ জানালেন তার স্বামী ফয়সাল নিজেই।

জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই কাজ করছেন তিনি। নেটে তার ভক্তের সংখ্যা বিপুল।

জয়া ২০১৩ সাল থেকে কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন। সেখানে তার প্রথম সিনেমা ছিল অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘আবর্ত’। এরপর থেকে জয়ার জয়জয়কারও কলকাতায়। দুই বাংলার ভক্তরা এখন জয়ার প্রতি নিয়মিত মুগ্ধ। নেটে তার ভক্তের সংখ্যা বিপুল। সে কী করছে, কী পরছে, কার সঙ্গে কথা বলছে তার কোনো শেষ নেই। তবে তার চেয়েও কৌতূহল হল অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন।

যদিও পঞ্চাশোর্ধ নায়িকা এই মুহূর্তে সম্পর্কের মধ্যে আছেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, তিনি যে একসময় গভীর প্রেমে পড়েছিলেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

জাইরার প্রথম স্বামীর নাম ফয়সাল মাসুদ। ভালোবেসে ফয়সালকে বিয়ে করেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন ধনী। ফয়সাল ১৯৯৮ সালে জাইরার সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রথম সফরের কথা এক সাক্ষাৎকারে বলেন ফয়সাল। একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে জয়ার সঙ্গে ফয়সালের প্রথম দেখা। শুরু হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। ফয়সাল সময়মতো আসতে পারেননি, মেকআপ করে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে জয়াকে। রেগে গিয়ে কথা শোনাতে ছাড়েননি জয়া। এই রাগই আবার অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। গভীর প্রেমে পড়েই ফয়সালকে বিয়ে করেছিলেন জয়া।

কেন তাদের ১৩ বছরের বিবাহ স্থায়ী হয়নি তা এখনও একটি রহস্য। জমিদার গৃহবধূরা জীবিকা নির্বাহের জন্য কতটা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? দুজনের কাছের মানুষ সব জানে। এত কিছুর পর কেন তাদের সাজানো সংসার ভেঙে গেল? ফয়সালের কাছে অন্তর্নিহিত সূত্র পাওয়া যায়। ঠিক কী কারণে সংসার ভাঙল, এত দিন পর পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।

বিয়ের পরও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া ও ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা দম্পতিও হয়ে ওঠেন তারা। তারপর ছন্দপতন।

জাইরা কোথাও জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। ফয়সাল একটু পিছনে ছিল। এই সাফল্য তাদের দাম্পত্য ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। দূরত্ব বাড়তে থাকে। চেষ্টা করেও ফয়সাল ঠিক করতে পারেনি। ফলাফল বিবাহ বিচ্ছেদ। ২০১১ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, জয়া আহসানের অভিনয় সত্যিই খুব অসাধারণ। তিনি বিভিন্ন সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়তে দর্শকরা হয়েছেন মুগ্ধ। জয়া আহসান চান ভবিষ্যতে দর্শকদের আরো ভালো কিছু উপহার দিতে। তার সব সময় প্রচেষ্টা একটাই যে দর্শকরা যেন ভালো কিছু দেকলহতে পারে এবং আরো উৎসুক হয়ে সিনেমা দেখতে আগ্রহী হয়।