বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থায় বর্তমান সময়ে কিছুটা ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক ট্রেন্ড বিরাজ করছে, যেটা রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বেশ ভালো বুঝতে পারছেন। এদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় কখন কোনদিকে মোড় নেয় সে বিষয়েও অনেক বিশ্লেষকেরা কিছু অনুধাবন করতে পারছেন। তবে রাজনৈতিক সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা এবং আগামি পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু আগাম বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার তিনি জয় বাংলা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
আওয়ামী লীগের জয় বাংলা শ্লোগানটা কীভাবে জয় বাংলা করে দেয়ার পরিকল্পনা করলাম?
আপনাদের মনে আছে ইম্প্রেস টেলিফিল্মের একটা সাম্প্রতিক সিনেমার কথা যেই সিনেমায় দেখানো হইতেছিলো রাজাকারেরা খু”/ন করতেছে আর মেয়েদের তুলে নিয়ে যাইতেছে আর তাদের কণ্ঠে নারায়ে তাকবির শ্লোগান।
আমি এইটা নিয়ে লিখছিলাম। বলছিলাম যে এই শ্লো”গান মুক্তিযোদ্ধারাও দিছে। আমি প্রমাণ হাজির করছিলাম যে হিন্দু মুক্তিযোদ্ধারাও যুদ্ধের ময়দানে না’রায়ে তাকবির শ্লো”গান দিছে। বলছিলাম বেশ অনুনয় কইর্যাই যে এই শ্লো”গান মুসলমানদের পবিত্র আবেগের ধর্মীয় শ্লো”গান। এই শ্লো’গান আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে দিতে না পারেন রাজাকারের ব”/র্বর কাজের সময়ে দিয়েন না, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কষ্ট পাইবে মনে। সিনেমার পরিচালক আমার লগে ফোনে কথা বললো। প্রতিশ্রুতি দিলো শ্লো”গানটা পাল্টায়ে দিবে। আমাকে রিকুয়েষ্ট করলো যেন আমি আমার পোষ্টটা মুইছ্যা দেই। আমি পোষ্ট মুছে দিলাম। অনেকেই আমারে বলছে, দাদা পোষ্ট মুইছ্যা ঠিক করেন নাই এই পরিচালক পল্টি দিবে। তাই হইলো।
পরদিন সেই পরিচালক পল্টি মারলো। নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলো। নিজেরে বৃহৎ চেতনাবাজ বইলা দাবী করলো। এমনকি সে অস্বীকার করলো যে আমারে প্রতিশ্রুতি দিছিলো যে শ্লোগানটা পাল্টায়ে দিবে। চেতনা শিবিরে বইলো আনন্দের আর বিজয়ের হাওয়া।
আমারে সবাই আইস্যা কইতে থাকলো, দাদা এইডা কী হইলো? আমি পুরাই চো/ দ না* হইয়া গেলাম। কইলাম সবাইরে ভরসা রাখেন আমার উপ্রে এইডার এমুন একটা প্রতিশোধ নিমু ওরা কল্পনাও করতে পারবে না।
হঠাৎই মাথায় আসলো “জয় বাংলা করে দেয়া” আইডিয়াটা। খারাপ সব কিছুকে “জয় বাংলা” বলে অভিহিত করার আইডিয়া। কাজে লাগাইলাম। আল্লাহর কী কাম আইডিয়াটা দারুণ জনপ্রিয় হইলো।
আওয়ামী লীগের মুল শ্লোগানটা জয় বাংলা হইয়া গেলো। নারায়ে তাকবিরকে সো কল্ড পোগতিশিলতার নামে কলংকিত করতে আইস্যা নিজের শ্লোগান কলংকিত কইর্যা ফির্যা গেলো পোগতবাদিরা।
আপনি যদি ন্যায় আর ইনসাফের পক্ষে থাকেন আপনি ডিভাইন হেল্প পাইবেন। জয় বাংলারে আমি জয় বাংলা করি নাই। আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমারে বিধাতা শক্তি দিছেন জন্যই জয় বাংলা কইর্যা দিতে পারছি। বিধাতা এইভাবেই মজলুমদের পাশে আইস্যা দাড়ান, আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষ তার অছিলায় বড় অর্জন কইর্যা ফেলাইতে পারেন। তবে এই অর্জন আমার না, এইটা বিধাতার দান।
প্রসংগত, পিনাকির এই ধরনের লেখনির মধ্যে বেশ কিছু তথ্য থাকলেও তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তিনি কতটা হিসাব-নিকাশ করার মাধ্যমে এই ধরনের পোস্ট দেন সেটা ইতিমধ্যে তার পাঠকেরা বুঝে গেছেন। তবে তিনি অনেক সময় নিরপেক্ষতার সাথেও কথা বলে থাকেন তবে সেটাও কোনো না কোনো ইঙ্গিত বহন করে।